বিধানসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি নিয়ে দলের মধ্যেই বিস্তর আলোচনা হয়েছে। যদিও এই আলোচনা সীমিত থেকেছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের মধ্যেই। দলের মূল্যায়ণে নামতে দেখা যায়নি দিল্লির নেতাদের। চরম বিপর্যয়ের পরেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Chowdhury) ওপর ভরসা করেছেন সোনিয়া গান্ধী। তারপর থেকে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়েছে কংগ্রেস।
বিধানসভা নির্বাচনের খরা কাটাতে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসে শুরু হয়েছে ‘নব সংকল্প শিবির’। সেই শিবিরে এআইসিসির পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত হয়েছেন এ চেল্লাকুমার। সমস্ত কংগ্রেস নেতাদের ঐক্যবদ্ধ করা কংগ্রেসের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ওপর বেজায় চটে দলের একাংশরাই। এমনটাই সূত্রের খবর। সেই ছবি গতকাল হাতে নাতে ধরা পড়েছে। ‘নব সংকল্প শিবির’ –এ অনুপস্থিত ছিলেন সন্তোষ পাঠক, আবদুল মান্নান, দীপা দাশমুন্সিদের মতো পোড় খাওয়া নেতারা।
শোনা যাচ্ছে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অধীর অঞ্জন চৌধুরীকে সরানোর কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে দিল্লির তরফেই। কংগ্রেস সূত্রে খবর, অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে জেলার নেতাদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ, সমস্ত জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না তিনি। এমনকি রাজ্যস্তরের বেশ কিছু নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে। এমত অবস্থায় দলের রাশ টানতেই তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব থেকে সরাতে পারে কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, ২৪ এর নির্বাচনের দিকে দলের নীতি কী হবে? তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা, নাকি দূরত্ব? সেদিকে তাকিয়েই এমন একজনকে সভাপতি করতে চায় কংগ্রেস, যার বিজেপি বিরোধী প্রতিটি দলের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বামেদের সঙ্গে অধীর চৌধুরীর সম্পর্ক ভালো হলেও তৃণমূলের সঙ্গে বাংলায় সমঝোতার দায়িত্ব নিতে হবে দিল্লির নেতাদের। কিন্তু রাজ্যের নেতাদের হাল ধরবেন কারা? তাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নতুন কাউকে আনা হতে পারে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।