বি টিম গঠন! সেই বি টিএম হবে তৃণমূূূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা। তাদের উপরেই বাজি ধরতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। সিপিআইএমের কটাক্ষ আসা যাওয়া চলছে ও চলবে দু’দলেই। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিরোধী দল বিজেপির করুণ হাল সেটি দলীয় নেতারা স্বীকার করছেন।
চল্লিশ শতাংশ ভোট পেয়ে দেখাও তবে বুঝব। বঙ্গ বিজেপি (BJP) নেতাদের এমনই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ভিন রাজ্যে সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিলীপ ঘোষ আপাতত সাইডলাইনে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধী দল বিজেপির করুণ হাল হতে চলেছে তা দিলীপবাবুর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট। হুড়হুড়িয়ে ভাঙতে থাকা বিজেপিপুর মধ্যে শূন্য হবার আশঙ্কা প্রবল। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলে গোষ্ঠিদ্বন্দ্বই হবে বিজেপির হাতিয়ার এমনই পথ নিচ্ছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিজেপিতে আমরা সবাই এক। এই স্লোগান সামনে রেখেই আগামী দিনে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি। শনিবার নিউটাউনে রাজ্য সাংগঠনিক বৈঠকে এই স্ট্র্যাটেজি নেওয়া হয়। বৈঠকে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের রণকৌশল নিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের বি-টিমকে ব্যবহার করতে পারেন তাঁরা। আগামী দিনে তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ টি আসন পাওয়ার পরেও রাজ্যে ক্রমান্বয়ে অবক্ষয় ঘটছে বিজেপির৷ পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং উপনির্বাচনে তাদের ভোট আগের তুলনায় অনেক কমেছে। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ আগেই স্বীকার করেছেন, সিপিআইএমের থেকে নিচে রয়েছে বিজেপি।
রাজ্যে বিজেপি দল বলে কিছু থাকবে না। দরজা এখনও পুরো খুলিনি। খুললেই দলটা উঠে যাবে। এমনই দাবি তৃণমূল কংগ্রেস সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সিপিআইএমের কটাক্ষ, ভারতীয় জনতা পার্টি মানেই তৃণমূল যেমন বলেছেন মুকুল রায়। সেরকমই এদিক ওদিক যাওয়া আসা চলছে।
পরপর পরাজয়ের ঘুম উড়েছে বিজেপি নেতাদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে মাথায় রেখে এখনই বুথস্তরে জনসংযোগে জোর দিয়েছে বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে টক্কর নয়, বরং নিজেদের বাকি ১৬ টি আসন ধরে রাখাই বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।