ধোনিদের বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি (৬৭, অপরাজিত) করে ম্যাচ জেতানোর পরই প্রাক্তন ভারতীয় কোচ ও বর্তমান গুজরাট টাইটানসের মেন্টর গ্যারি কার্স্টেনের একটি উক্তি ফের ঋদ্ধিমানকে (Wriddhiman Saha) নিয়ে চর্চায় আনতে শুরু করেছে।
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলার পর ভারতের প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী কোচ কার্স্টেন যিনি কিনা আবার এই আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের মেন্টার তিনি বলেছেন, আমরা ভীষনবাবে মুগ্ধ সাহার পারফরমেন্সে। ওকে দলে পাওয়াটাও দারুন বিষয়। প্রকৃত পেশাদার সাহা। ওর অভিজ্ঞতা অনেক। ও খেলাটা বোঝে। পাওয়ার প্লে-তে তফাত গড়ে দিচ্ছে ঋ্দ্ধি।”
তবে এই প্রশংসা এত সহজে প্রাপ্ত হয়নি ঋদ্ধিমানের। এবছর ১.৯০ কোটি টাকায় দলে নিলেও প্রথম পাঁচ ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল তাকে। কিন্তু তারপর সবটাই যেন ইতিহাস। ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা দেখানোর পাশাপাশি উইকেটের পিছনেও নির্ভরতা দিয়েছেন তিনি দলকে। রবিবারও দুটি ক্যাচ ধরেছেন ঋদ্ধি। গ্যারি কার্স্টেন আরও অনেক কথা বলেছেন ঋদ্ধিকে নিয়ে। তিনি জানিয়েছেন সাহা শর্ট বলের দুর্দান্ত প্লেয়ার।”
আর এর পরই স্যোশাল মিডিয়ায় ঋদ্ধিকে জাতীয় দলে না ফেরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেট নাগরিকরা। স্যোশালমিডিয়ার প্রশ্ন উঠেছে এরপর কি তাহলে জাতীয় দলে ফিরছেন ঋদ্ধি। সেখানে একগুচ্ছ ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। রীতিমত এই আইপিএলের তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে ঋদ্ধিকে জাতীয় দলে ফেরানোর বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
যাইহোক ঋদ্ধিকে বাদ দিয়ে যে জুনিয়রদের ওপর আস্থা রাখতে চাইছে বোর্ড। এই আইপিএলে তাদের থেকে পার্ফরমেন্সের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে ঋদ্ধিমান। এখন নিস:ন্দেহে নির্বাচকদের ঢোক গিলতেই হচ্ছে ঋদ্ধি প্রসঙ্গে। এমন পারফরমেন্সের পরও কোন যুক্তির বিচারে ঋদ্ধির সামনে জাতীয় দলের দরজা বন্ধ থাকবে এখন সেটাই কোটি টাকার প্রশ্ন।
এই আইপিএলে শুধু ম্যাচ জোতানোই নয়, ম্যাচের সেরাও হচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহা। বুড়ো বলে যাকে একদা বাতিলের খাতায় ফেলতে চেয়েছিলেন নির্বাচকরা, সেই বুড়ো ঘোড়াই এখন ম্যাচের সেরা। কি বলবেন এবার নির্বাচকরা?