নিউজ ডেস্ক: কৃষক বিক্ষোভের জেরে হরিয়ানার বহু এলাকা সীমানা ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন। মঙ্গলবার বিক্ষোভকারী কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত ঘিরে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন জেলাতেও প্রবল উত্তেজনা। দুটি রাজ্যেই বিজেপি ক্ষমতাসীন। তবে কৃষক বিক্ষোভের কেন্দ্র কার্নাল হরিয়ানার মধ্যে। সেখানেই জমায়েত।
পরি
স্থিতি সামাল দিতে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার পাঁচটি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এর জেরে আরও উত্তাপ ছড়িয়েছে। কেন্দ্রের মোদী সরকারের কৃষি নীতির বিরোধিতায় আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ভারত বনধ পালন করবে কৃষক সংগঠনগুলি।
আন্দোলন বন্ধ হবে না। সরকারকে বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করেই ছাড়ব। এমনই জানিয়েছেন সর্বভারতীয় কৃষক নেতা উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন বাম সাংসদ হান্নান মোল্লা। পশ্চিম ভারতের কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতের হুঙ্কার বিজেপি সরকার পড়ে যাবে হরিয়ানা ও উত্তর প্রদেশে।
আন্দোলনরত কৃষকদের যৌথ মঞ্চ কৃষক সংঘর্ষ সমিতির তরফে বার্তা পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সর্বভারতীয় কৃষক নেতৃত্বের দাবি, মমতা যখন বিজেপি বিরোধী নেত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরছেন, তাহলে কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ধর্মঘটে অংশ নিন।
পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবার ২০১১ সালে সরকার গড়ার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ঘোষণা করেন, তাঁর সরকার বনধ সমর্থন করবে না। গত দুটি মেয়াদে টানা সরকার চালিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস একবারও বনধ ডাকেনি। বিরোধীদের ডাকা বনধ রুখতে রাস্তায় থেকেছে টিএমসি সমর্থকরা।
কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত বনধ ঘিরে উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে ব্যাহত হবে জনজীবন এমনই মনে করা হচ্ছে। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটকেও বনধের প্রভাব পড়তে চলেছে। মহারাষ্ট্রে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলেই ধারণা।
বনধের সমর্থন করছে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই, শিবসেনা, ডিএমকে, শিরোমনি আকালি দল। দিল্লির সরকারে থাকা আম আদমি পার্টি কী অবস্থান নেয় তাও লক্ষ্যণীয়। দলনেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের নজরে পাঞ্জাবের নির্বাচন। তিনিও ঝুঁকি নেবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর পরেই আসছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। কৃষক আন্দোলনে সমর্থন দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বনধ সমর্থন করবেন? কলকাতা থেকে দিল্লি, লখনউ সর্বত্র এই প্রশ্ন।
কৃষক আন্দোলনের ধাক্কায় হরিয়ানার সরকার টলমল করছে।হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টার কৃষক আন্দোলনের প্রবল বিপক্ষে। তবে তাঁর সরকারেই লেগেছে ভাঙন আতঙ্ক। শরিকদলগুলি রুষ্ঠ। এই সুযোগে তাল ঠুকছে বিরোধী কংগ্রেস।