বৃহস্পতিবার সন্তোষ ট্ৰফি রানার্স বাংলা দলের সংবর্ধনা মঞ্চে লাল-হলুদ (East Bengal) শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই বলে দিচ্ছিল ইনভেস্টর ইস্যুতে কোনওরকম প্রশ্ন আসলে তিনি প্রস্তত তার জবাব দিতে। প্রশ্ন উড়ে আসার আগেই মঞ্চে ভাষন দিতে গিয়ে নিজেই জানিয়ে দিয়েছিলেন খুব দ্রুত ভালো খবর আসবে।
ইনভেস্টর শব্দটি সেই সময় মুখে না আনলেও দর্শকআশনে বসে থাকা সদস্য ও দর্শকরা বুঝতেই পেরেছিলেন কর্তার ইঙ্গিত। স্বাভাবিকভাবেই এমন বার্তা পাওয়ার পর হাততালি ফেটে পড়েছিল লালহলুদ তাঁবুতে। অনুষ্ঠান শেষে সরাসরি ইনভেস্টারের প্রশ্নে এও জানয়েছিলেন পাঁচ ছয়টি কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছে তাদের। খুব দ্রুতই একটা সিদ্ধান্তে আসবেন তারা। ফিফার প্রথম উইন্ডো খুলছে ৯ জুন। তাহলে কি ফিফার প্রথম উইন্ডো খোলার আগেই ইনভেস্টেরের নাম ঘোষণা করবেন লালহলুদ কর্তারা? টেকনিক্যাল সাপোর্ট হিসেবে বেশ কিছু বিশ্ব সেরা ক্লাবের সঙ্গেও কথা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এতদিন বসুন্ধরা, স্টার সিমেন্ট সহ বেশ কয়েকটি গ্রুপের নাম আগামী মরসুমে ইস্টবেঙ্গল ইনভেস্টর হিসেবে শোনা যাচ্ছিল। এর সঙ্গে এবার যোগ হল ইমামি গ্রুপের নাম। যদিও লালহলুদ কর্তারা এখনই কোনও নাম প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না। কথাবার্তা চলছে বলেই থামছেন। তবে ইনভেস্টার নিয়ে এতটাই আশাবাদী তারা যে সরকারীভাবে কারো সঙ্গে চুক্তি না হলেও দলগঠনের কাজে নেমে পড়েছেন তারা। বৃহ:স্পতিবার বাংলা দলের সব ফুটবলারের কাছে আগামী বছর তাদের দলে খেলার প্রস্তাব দিলেও। শোনা গিয়েছে সন্তোষ ট্রফি চলাকালীনই বাংলা দলের ছয় জন ফুটবলারের সঙ্গে পাকা কথা বলে রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। একপ্রস্থ কথা বলা হয়েছে বাংলা কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গেও। সবকিছু ঠিক থাকলে কলকাতা লিগের জন্য রঞ্জনকে কোচ রেখে দিতে পারেন লালহলুদ কর্তারা। এই সব ছোট্ট ছোট্ট ঘটনা থেকেই প্রমান হয় যে ইনভেস্টর ইস্যুতে যথেষ্ট পজেটিভ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।