জুট মিল ও পাট শিল্প সমস্যা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেছিলেন দরকারে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই প্রতিবাদ করব। দিল্লিতে বৈঠকের পর শান্ত হলেও অর্জুন ফের তৃ়ণমূল ঘনিষ্ঠতা বাড়ালেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপিতে গুঞ্জন দ্রুত দলত্যাগ করবেন অর্জুন সিং।
ব্যারাকপুরে ধর্মীয় মিছিলে একইসঙ্গে হাঁটলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সোমনাথ সোম। যদিও দাবি করা হচ্ছে এই যোগাযোগ নেহাতই ঘটনাচক্রে। তবে এই দাবি মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল।
কাঁকিনাড়ায় উদ্বোধন হচ্ছে ‘শ্রী শ্রী ফক্কড়নাথ শিব মন্দির’। বুধবার মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে আয়োজিত কলসযাত্রায় একসঙ্গে দেখা গেল অর্জুন সিংকে। তাঁর পাশে হাঁটলেন স্যোমনাথ সোম। তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গেই গঙ্গার ঘাটে পুজো দেন অর্জুন পুত্র এবং ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিং।
সম্প্রতি পাটশিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গেছে ব্যারাকপুরের বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংকে। যেভাবে প্রতিটি বক্তব্যে কেন্দ্র সরকার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েলের তুলোধনা করছেন তাতে তাঁর তৃণমূল যোগের জল্পনা এড়ানো যায় না। বুধবার ধর্মীয় মিছিলে তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে একসঙ্গে হেঁটে সেই জল্পনা আরও বাড়ালেন অর্জুন সিং।
যদিও বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বক্তব্য, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমরা প্রথম থেকেই জড়িয়ে রয়েছি। এখানে কে আসবেন তা নিয়ে আমার চিন্তা নেই। মহাযজ্ঞে সকলেই শামিল হন। রাম যখন সেতু তৈরি করছিলেন তখন কাঠবিড়ালিও সাহায্য করেছিল। তাই প্রত্যেকেই ধর্মীয় মঞ্চে আসতে পারেন। এখানে কাউকে আটকানো যায় না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সোমনাথ সোমের বক্তব্য, আমার পাশে কে ছিল জানিনা। মন্দির কর্তৃপক্ষের আমন্ত্রণে উপস্থিত হয়েছিলাম। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
তবে এর আগে নিজের লোকসভা কেন্দ্র ব্যারাকপুরে বেশ কয়েবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন অর্জুন। কিন্তু এর আগে কখনও তৃণমূল ও বিজেপিকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। তাই এবার তৃণমূল বিজেপিকে একসঙ্গে দেখে জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করেছে।