গ্রীষ্মের প্রবল উত্তাপ পরাজিত, আন্দোলনে অনড় হবু শিক্ষকরা

মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে প্রবল দাবদাহের মাঝে রাজপথে হবু শিক্ষকরা। ৩ দফায় ৪১০ দিন ধরে চলছে হবু শিক্ষকদের আন্দোলন। শুক্রবার হবু শিক্ষকদের দাবিকে সমর্থন…

গ্রীষ্মের প্রবল উত্তাপ পরাজিত, আন্দোলনে অনড় হবু শিক্ষকরা

মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে প্রবল দাবদাহের মাঝে রাজপথে হবু শিক্ষকরা। ৩ দফায় ৪১০ দিন ধরে চলছে হবু শিক্ষকদের আন্দোলন। শুক্রবার হবু শিক্ষকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ।

Advertisements

হবু শিক্ষকদের বক্তব্য,প্রথম দফায় ডাক পেলেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নম্বর ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেনি৷ ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করা হয়েছে। মেধাতালিকায় সামনের দিকে নাম থাকলেও নিয়োগ পাননি বহু প্রার্থী। বরং তালিকায় নাম জুড়েছে মেধা তালিকায় পিছনে থাকা প্রার্থীদের৷ অভিযোগ, অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে।

   

এই অভিযোগে২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রেস ক্লাবের সামনে ২৯ দিন ধরে অনশন কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন হবু শিক্ষকরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ এর নির্বাচনের পরেই নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
সেই অভিযোগ তুলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করতে হয়েছে।

Advertisements

এর আগে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন, ২০২১সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন।
এরপর গত বছরের ৮ ই অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্ণা।

মোট ৩ দফায় ৪১০ দিনে পড়ল হবু শিক্ষকদের আন্দোলন। এখন মেধা তালিকা ভুক্তদের ন্যায্য চাকরীর দাবিতে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইছেন তাঁরা।