বীরভূম জেলা টিএমসির সভাপতি কেন লাল বাতি দেওয়া গাড়িতে চড়েন? এমনই অভিযোগ বারবার উঠেছে। তবে রাজ্য সরকার পাত্তা দেয়নি। গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরার মুখে থাকা এমনই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দাখিল হলো জনস্বার্থ মামলা। অনুব্রত মণ্ডলের গাড়িতে লাল বাতি থাকার কারণে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গোরু পাচার মামলায় সিবিআই জেরার আগেই অসুস্থ হন। সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাঁকে জোড়া মামলায় তলব করেছে সিবিআই। মনে করা হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ এড়ানোর চেষ্টা করলেও সিবিআই নিজেদের চক্রব্যুহে ফেলতে চাইছে কেষ্টকে।
গত ৭ এপ্রিল সিবিআইইয়ের হাজিরা এড়িয়ে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হন অনুব্রত মণ্ডল। তখন থেকেই অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছিল। লাল বাতি নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও কেন তিনি গাড়িতে ব্যবহার করছেন? তা প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছিল।
জানা গিয়েছিল, বীরভূম থেকে যে গাড়িতে অনুব্রত কলকাতায় এসেছেন সেই গাড়ির মাথায় ছিল লালবাতি। চিনার পার্ক থেকে কলকাতায় আসার সময়েও তাঁর কালো গাড়ির মাথায় দেখা যায় লাল বাতি।
পরিবহণ মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলে দেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত গাড়িতে কেউ লাল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন না। বাদামি হলুদ বা অ্যাম্বর লাইট ব্যবহারের ছাড়পত্র রয়েছে বিমানবন্দর, বন্দর এবং খনিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার্য গাড়ির ক্ষেত্রে। অ্যাম্বুল্যান্স, দমকলের মতো জরুরি পরিষেবার গাড়িতে নীল আলো ব্যবহার করতে পারে। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর ক্ষেত্রে একত্রে লাল, নীল ও সাদা আলোর ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কারা ব্যবহার করবেন তা জানাতে হবে কেন্দ্রকে।
যদিও গাড়িটি অনুব্রত মণ্ডলের নয় বলেই জানা যায়। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ওই গারির মাথায় লাল বাতি এল কী করে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর গাড়ির মাথায় লাল বাতি নেই।