এমনিতেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তুঙ্গে। অভিযোগ তিনি আরএসএস অনুসারী হয়ে বারবার রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে আঘাত করছেন। তবে এবার বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তী কেন তার পরিবারকে এড়িয়ে চলেছেন এই প্রশ্নে বিতর্ক আরও।
কলকাতা থেকে বীরভূম টিএমসি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে শনিবার মৃত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত ছাত্র অসীম দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে টিএমসি প্রতিনিধিরা যাচ্ছেন। এই প্রতিনিধি দলে আছেন বোলপুরে বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। মৃত ছাত্র অসীমের বাড়ি নানুরে। তার মৃতদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে মিলেছিল। খুন নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
অনুব্রত নির্দেশ আসতেই বীরভূম জেলা টিএমসি চনমন করছে। শনিবার বেলা গড়াতেই বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়াল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর বাসভবনের সামনে হাজির হয় বাইক বাহিনী। তবে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশ তাড়া করে। কয়েকজনকে ধরে ফেলে পুলিশ।
অভিযোগ আসছে, ক্যাম্পাসে ভয়ের বাতাবরণ ছড়াতে চাইছেন টিএমসি জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আবার উপাচার্যের বিরুদ্ধেও পড়ুয়া ও অধ্যাপকদের অহেতুত সমস্যায় ফেলার অভিযোগ আছে। বিভিন্ন ইস্যুতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন পড়ুয়ারা।