চার রাজ্যের উপনির্বাচনে ধরাশায়ী বিজেপি

কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। শনিবার দেশের চারটি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।…

কয়েকটি রাজ্যের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। শনিবার দেশের চারটি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। শেষ খবর পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে বিজেপি বা জোট সঙ্গী কেউই একটি আসনও পায়নি। অর্থাৎ বিরোধীদের কাছে ৫-০ ফলাফলে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে গেরুয়া দল।

শনিবার যে ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে তার মধ্যে দুটি কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের। একটি আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং দ্বিতীয়টি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা ও বাবুল সুপ্রিয়। বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। আসানসোলে বিজেপি দ্বিতীয় হলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে তাদের ব্যবধান অনেক বেশি। অথচ ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনেও আসানসোল কেন্দ্রে তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর বাংলায় বিজেপির যে অবনমন শুরু হয়েছে সেই ধারা উপনির্বাচনেও বজায় রইল।

   

অন্য তিনটি আসনের মধ্যে মহারাষ্ট্রের কোলাপুর উত্তর আসনটি কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে। অন্যদিকে ছত্তিশগড়ের খাইরগড় আসনটিও পেয়েছে কংগ্রেস। ২০২২ সালে ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জনতা কংগ্রেসের হাত থেকে খাইরগড় কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস। যা নিঃসন্দেহে মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলকে শক্তি যোগাবে।

তবে রাজনৈতিক মহলকে অবাক করে বিহারের একমাত্র বোকাহান আসনটিও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিল আরজেডি।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপি ও জেডিইউ-এর শরিকি কোন্দলের কারণেই আরজেডি এই আসনটি ছিনিয়ে নিতে পেরেছে।

সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভাল ফলাফল করেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তারপর থেকেই পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস-সহ প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে।
কিন্তু দাম এভাবে বেড়ে চললেও কেন্দ্রের মোদী সরকার বিষয়টিকে উপেক্ষা করে গিয়েছে। সে কারণেই বিজেপির এই লজ্জাজনক পরাজয় বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, যে আসনগুলিতে উপনির্বাচন হল তার অধিকাংশই ছিল বিরোধীদের দখলে।
উপনির্বাচনে সাধারণত শাসকদলের জয়ের প্রবণতা বেশি থাকে। সে কারণেই পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ে বিরোধীদের জয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি।