BY Election: টিএমসির ‘খোলা দরজায়’ কত জন বিজেপি যাবেন জল্পনা তুঙ্গে

By Election: উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ফল ঘোষণার পর দরজা খুলে দেব। তাঁর ইঙ্গিত ছিল বিজেপির বিধায়ক ও…

Dilip-Mamata

By Election: উপনির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ফল ঘোষণার পর দরজা খুলে দেব। তাঁর ইঙ্গিত ছিল বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদদের দলত্যাগের প্রতি। তাঁর আহ্বানে সাড়া পড়লে রাজ্যে আরও বড় উপনির্বাচন হতে চলেছে।

টি়এমসি মনে করছে, বিজেপি থেকে অন্তত এক ডজন ভাঙতে চলেছে। বিজেপির ধারণা, সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যবাসী বিজেপি কে মূল প্রতিপক্ষ বলে মনে করেছেন। সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়াই করবে। তবে দলত্যাগ নিয়ে চিন্তিত বিরোধী দল।

আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয় ছাড়া কিছু দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম যৌথভাবে একখা জানিয়েছেন। তবে সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থবাবু এড়িয়ে যান এসএসসি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হাজিরা প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে জয় নিশ্চিত।

টিএমসির দাবি মিলে গেলে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ‘পরিবর্তন’ হতে চলেছে। টানা দুবার এই কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে ছিল। সংসদ বাবুল সুপ্রিয় সাংসদ পদ ছেড়ে দলত্যাগ করায় আসানসোলে উপনির্বাচন হলো। এই কেন্দ্রে এবার টিএমসি প্রার্থী অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল ও সিপিআইএমের প্রার্থী পার্থ মুখার্জি।

অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলো বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে। এই কেন্দ্রে টিএমসি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি আগে বিজেপির হয়ে দুবার আসানসোলের সাংসদ ছিলেন।

বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে গতবারের ভোট মার্জিন কি থাকবে? ভোটের শেষ দিকে এসে এই প্রশ্ন ঘুরছে শাসক দলের শিবিরে। এর কারণ, পঞ্চাশ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোটারের কেন্দ্র বালিগঞ্জে বাবুল সুপ্রিয় কে প্রার্থী করা নিয়ে টিএমসির অন্দরে অসন্তোষ রয়েছে। সেই অসন্তোষ চোরাস্রোতের মতো ইভিএমে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপিতে থাকার সময় সংখ্যালঘু বিদ্বেষী মন্তব্যের কারণে বিতর্কিত। ফলে তাঁকে এলাকার মুসলমান ভোটারদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।

বালিগঞ্জে সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা হালিম কে নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল। তিনি এনআরসি বিরোধী নেত্রী। ফলে ভোটে তিনি আলোচিত এলারায়। এর পাশাপাশি আছেন কংগ্রেসের কামরুজ্জামান চৌধুরী। তিনিও ভোট কাটবেন। ফলে মুসলিম ভোটারদের মধ্যে তিন ভাগ হবার সম্ভাবনা।

রাজনৈতিক মহলের আলোচনা, যেভাবে রাজ্যে গত কয়েকটি উপনির্বাচন, পুরনিগম ও পুরভোটে বিজেপির অবনমন হচ্ছে সেটি বজায় থাকলে বিরোধী দল হিসেবে আরও ক্ষতির মুখে পড়বে তারা। আলোচনায় আসছে গত ভোটগুলিতে বামফ্রন্টের উঠে আসা।