গতকাল ঘটে গেছে ডবল ধামাকা। বিজেপির কংগ্রেস কার্যালয় আক্রমণ করার পর তাদের সমবেদনা জানাতে যায় বাংলাপক্ষ। সেখানেই কংগ্রেসের কয়েকজন হিন্দিভাষী নেতার হাতে আক্রান্ত হয় বাংলাপক্ষের গর্গ চ্যাটার্জী এবং কৌশিক মাইতি। তারপরে অনেক জল গড়িয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার সমাজমাধ্যমে অফিসিয়ালি জানিয়েছিলেন কোনো ভাষাকেই ছোট করার অধিকার কারুর নেই।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস নেতা প্রমোদ পান্ডে বাংলাপক্ষকে প্রশ্ন করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যে আম্বানি, আদানি সবাইকে ডেকে আনছেন ব্যবসা করার জন্য। ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সমস্ত বিজনেস পার্টনার দিল্লির। তারা অবাঙালি। কিন্তু বাংলাপক্ষ কোনোদিন সাহস করে জিজ্ঞেস করতে পারবে কি তাদের যে কেন অবাঙালিদের নিয়ে এসে ব্যবসা করছে ?
প্রমোদ পাণ্ডে আজ বিজেপি ঢঙে বাংলাপক্ষকে আক্রমণ করেছেন । বাংলাপক্ষ অভিযোগ করেছে গতকাল প্রমোদও বাংলাপক্ষকে আক্রমণ করেছিলেন। আজ একটি ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন জাতি জাতি বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্যই আক্রান্ত গর্গ। প্রমোদ বলেন বিধানভবনে ঢুকে হিন্দিভাষী নেতাদের অগ্রাহ্য করেন গর্গ এবং কৌশিক।
তাতেই খেপে যান ওই হিন্দিভাষী নেতারা। প্রমোদ গর্গকে জিজ্ঞেস করেছেন SSC দুর্নীতির ব্যাপারে। কেন বাংলায় আট হাজার স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে তাও তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করতে বলেছেন। প্রমোদ তার ভিডিও বার্তায় বলেছেন “মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে আম্বানি, আদানিদের মতো বড় ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে ব্যবসার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত ব্যবসায়িক পার্টনার দিল্লির, এবং তারা অবাঙালি। বাংলাপক্ষ কি কখনও সাহস করে তৃণমূল নেতৃত্বকে প্রশ্ন করবে, কেন তারা অবাঙালিদের সঙ্গে ব্যবসা করছে?” এই মন্তব্য বাংলাপক্ষের প্রতি কংগ্রেসের আক্রমণকে বিজেপির সুরের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আক্রমণকে বিজেপির সুরের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।বাংলাপক্ষের পক্ষ থেকে এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। সংগঠনের এক মুখপাত্র বলেন, “আমরা কংগ্রেস কার্যালয়ে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলাম, কিন্তু প্রমোদ পাণ্ডে সহ হিন্দিভাষী নেতারা আমাদের বাঙালি পরিচয় নিয়ে আক্রমণ করেছেন।
তাঁদের এই হামলা বাঙালি বিরোধী মনোভাবের প্রমাণ।” বাংলাপক্ষ আরও দাবি করেছে যে প্রমোদ পাণ্ডে গতকালের হামলায় সরাসরি জড়িত ছিলেন এবং তাঁর ভিডিও বার্তা তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে মিলে বাংলাপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ।