Pakistan: সেনা শাসনের সম্ভাবনা বাড়ল পাকিস্তানে, নির্বাচন ৬ মাসেও হবে না

পাকিস্তানে চরম রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। দুদিন আগে পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে দেশের জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে ৯০…

possibility of military rule has increased in Pakistan

পাকিস্তানে চরম রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। দুদিন আগে পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে দেশের জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিন মাস তো দূরের কথা, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন করা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে বিরোধীরা। বুধবার পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে শুনানি। তবে আগের শুনানিতেই পাক সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছিল, এভাবে অনাস্থা প্রস্তাব কখনওই খারিজ করা যায় না।

এদিন নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি নির্বাচনী কেন্দ্রগুলির বেশকিছু রদবদল করা হয়েছে। বেশকিছু নির্বাচনী এলাকার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এত কম সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা তৈরি করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আগামী তিন মাস তো দূরের কথা, ছয় মাসের মধ্যে ভোট করানো যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

Advertisements

কমিশনের এদিনের বক্তব্যে ইমরানের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, পাকিস্তানে সেনা শাসনের সম্ভাবনাই ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে। চলতি পরিস্থিতির মধ্যেই মঙ্গলবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মইদ ইউসুফ। ইউসুফের ইস্তফা পাক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল।

পাকিস্তানের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়েছেন রাশিয়া ও আমেরিকার মতো দুই বৃহৎ শক্তি। মস্কোর অভিযোগ, ইমরান তাঁর প্রস্তাবিত রাশিয়া সফর বাতিল না করার কারণেই তাকে সরাতে চক্রান্ত করেছে আমেরিকা। ইমরান নিজেও জানিয়েছেন, তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে আমেরিকা রীতিমত চিঠি দিয়েছে। যদিও রাশিয়া ও ইমরানের এই দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটন স্পষ্ট জানিয়েছে, ইসলামাবাদের কুর্সিতে কে বসবেন সেটা সম্পূর্ণ পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমেরিকা কখনওই কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় না