ভারতীয় ক্লাব ফুটবলে অন্যতম সফল ক্লাবগুলি একটি নর্থইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC )। দেশের প্রথম ডিভিশন লিগ তথা আইএসএল কিংবা কলিঙ্গ সুপার কাপে এখনও সাফল্য না এলেও ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ডে এবার একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রয়েছে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের। গত সিজনে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে পরাজিত করে এই ট্রফি জয় করেছিল হুয়ান পেদ্রো বেনালির ছেলেরা। এবার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল দলের সকল ফুটবলারদের। সেইমতো প্রথম থেকেই দারুন ছন্দে ছিল পাহাড়ের এই ফুটবল ক্লাব। মালয়েশিয়ান আর্মি থেকে শুরু করে শক্তিশালী শিলং লাজং এফসি হোক কিংবা শক্তিশালী রাঙদাজিয়েদ। সকলকেই প্রায় আটকে দিয়েছিল এই দল।
যারফলে অনায়াসেই দল স্থান করে নিয়েছিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল কিবু ভিকুনার শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসি। উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো এবার এই ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি। যেখানে প্রথম থেকেই ব্যাপক ছন্দে ছিল এই ফুটবল ক্লাব। কোয়ার্টার ফাইনালে জামশেদপুর এফসিকে পরাজিত করার পর সেমিতে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইস্টবেঙ্গল ফুটবল দলকে টেক্কা দিয়েছিল নরহরি শ্রেষ্ঠারা। ফাইনাল কিংবা ট্রফি নির্ণায়ক ম্যাচে ও সেই ধারাবাহিকতা ফাইনালে বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও তা কার্যকরী হয়ে ওঠেনি।
শেষ পর্যন্ত হুয়ান পেদ্রো বেনালির নর্থইস্ট ইউনাইটেডের কাছে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় ডায়মন্ড হারবার। এককথায় যা বিরাট চমক। সেদিন গোটা ম্যাচ জুড়েই দেখা গিয়েছিল আলাদিন আজারাইদের দাপট। যাদের ধারে কাছে একেবারেই ছিল না ডায়মন্ড হারবার এফসি। যারফলে অনায়াসেই চলে আসে জয়। সেইদিন ঐতিহ্যবাহী এই ফুটবল টুর্নামেন্টের অন্যান্য ফুটবল কাপ গুলি দেওয়া হলেও মেলেনি প্রেসিডেন্ট কাপ। বলাবাহুল্য, সর্বদা এই টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নদের মূলত ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি শিমলা ট্রফি ও প্রেসিডেন্ট কাপ প্রদান করার রীতি রেওয়াজ চলে আসলেও এবার সেটা হয়নি।
সেদিন খেলার মাঠ থেকে মূল ডুরান্ড কাপের পাশাপাশি শিমলা ট্রফি দেওয়া হলেও আগামী ২৭শে আগস্ট দেশের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে নর্থইস্ট ইউনাইটেড দলকে প্রদান করা হবে প্রেসিডেন্ট কাপটি। বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেদিন বেলা ১২টায় নর্থইস্ট ইউনাইটেডের সকল ফুটবলারদের পাশাপাশি সাপোর্টিং স্টাফেদের উপস্থিতিতে সেই খেতাব হাতে তুলে দেবেন দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি দৌপ্রদী মুর্মু। নিঃসন্দেহে যা বিরাট গৌরবের বিষয়। এখন সেদিকেই নজর থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের।