হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদের বডুপাল এলাকায় হাড়হিম করা ঘটনা। গর্ভবতী স্ত্রীকে খুন করে নদীতে দেহাংশ ফেললেন স্বামী৷ ২৭ বছর বয়সী মহেন্দ্র রেড্ডি তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী স্বাতী-কে হত্যা করেন৷ শনিবার এই ঘটনা ঘটে৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
পারিবারিক বিবাদ
ঘটনার সূত্রপাত পারিবারিক বিবাদ থেকে। স্বামী ও স্ত্রী প্রায়ই পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া করতেন। শনিবার সকালে স্ত্রী তাঁর মেডিকেল চেকআপের জন্য বিকারাবাদ যাওয়ার কথা বললে স্বামী তাঁকে যেতে বাধা দেয় এবং এরই মধ্যে তীব্র তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিনই মহেন্দ্র পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে হত্যা করেন।
পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, মহেন্দ্র হেক্সা ব্লেড ব্যবহার করে দেহ টুকরো করে আলাদা প্লাস্টিক প্যাকেটে ভরে নদীতে ফেলে দেন। CCTV ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিনি একটি ব্যাগে দেহের অংশ নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। দেহের কিছু অংশ বাড়িতেই রাখা ছিল, যা পরে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ Man murders pregnant wife
পরবর্তী সময়ে, মহেন্দ্র তার বোনকে কল করে স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার কথা বলেন। বোনের সন্দেহ হলে আত্মীয়কে জানানো হয়, যিনি অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে যান। প্রথমে হত্যাকাণ্ডকে নিখোঁজ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করলেও জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেন। পুলিশ তাকে হত্যা এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে হেফাজতে নিয়েছে। উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি গান্ধী হাসপাতালের মর্টুয়ারিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকি অংশ খুঁজতে পুলিশ নদীতে অভিযান চালাচ্ছে।
গর্ভধারণের পরেও অত্যাচার
তাঁরা উভয়েই তেলঙ্গানার বিকারাবাদের স্থানীয়। জানুয়ারি ২০২৪-এ তাঁদের বিয়ে হয়। প্রথম কয়েক মাস সুখে কাটলেও, এর পর থেকে শুরু হয় পারিবারিক বিবাদ ও অত্যাচার। এপ্রিল ২০২৪-এ স্বাতী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় বৃদ্ধদের মধ্যস্থতায় সমঝোতা হয়, কিন্তু পারস্পরিক সন্দেহ ও ঝগড়া চলতেই থাকে। স্ত্রী হায়দরাবাদে কল সেন্টারে চাকরি করতেন, কিন্তু স্বামীর সন্দেহের কারণে কাজ করতে পারেননি। মার্চ ২০২৫-এ গর্ভধারণের পরও পারিবারিক উত্তেজনা চলতে থাকে।
পুলিশ মৃতদেহের বাকি অংশ উদ্ধার এবং সম্পূর্ণ তদন্ত চালাচ্ছে। ঘটনা স্থানীয় সমাজে শক তৈরি করেছে এবং মামলার বিচারের দিকে নজর রয়েছে।
Bharat: In a horrific crime in Hyderabad, a man named Mahendra Reddy was arrested for murdering his pregnant wife, Swathi, and dismembering her body. He allegedly threw the body parts into a river. The police are now searching for the remaining parts of the body.