নন্দীগ্রামে (Nandigram) ফের একবার পদ্ম ফুলের দাপট। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিরুলিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বিপুল জয় লাভ করেছে। এই সমবায় সমিতির মোট ১২টি আসনের প্রত্যেকটিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিআইএম-কে পিছনে ফেলে।
এই জয়ের পর নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক মহলে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে, এবং বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা গেরুয়া আবির উড়িয়ে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছেন। আজ, রবিবার সকাল থেকে বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোরাচিরা হাইস্কুলে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
নির্বাচনে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস উভয় দলই ১২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, যেখানে সিপিআইএম মাত্র একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, ১২টি আসনের সবকটিতেই বিজেপি প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস কোনও আসনে জয়লাভ করতে পারেনি, এবং সিপিআইএম-এর একমাত্র প্রার্থীও পরাজিত হয়েছেন।
এই জয় নন্দীগ্রামে বিজেপির ক্রমবর্ধমান প্রভাবের আরেকটি প্রমাণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রটি বিজেপির শীর্ষ নেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিনিধিত্ব করা এলাকা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন, যা রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।
এবারের সমবায় নির্বাচনের ফলাফল শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক শক্তির প্রতিফলন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাথ পাল বলেন, “এই জয় শুভেন্দু অধিকারীর উন্নয়নের জয়।
নন্দীগ্রামের মানুষ শান্তি চায়, অশান্তি নয়। তারা শাসক দলের নীতির বিরুদ্ধে রায় দিয়ে বিজেপির প্রার্থীদের সমর্থন করেছে।”তিনি আরও জানান, এই জয় নন্দীগ্রামের মানুষের আস্থা এবং বিজেপির প্রতি তাদের ভরসার প্রতীক।
এই এলাকায় ২০০৭ সালের জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, নন্দীগ্রাম সবসময় রাজনৈতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিরুলিয়া সমবায় সমিতির এই নির্বাচনের ফলাফল আগামী দিনে নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
HAL-এর সঙ্গে ১২০ টি তেজসের মেগা চুক্তি করল ভারত
এই জয়ের পর বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, তারা নন্দীগ্রামের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে এবং এলাকার মানুষের আস্থা অক্ষুণ্ণ রাখবে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই পরাজয়ের পর তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে পারে। নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক মাটিতে পদ্ম ফুলের এই দাপট আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে আরও আলোচনার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।