ISRO Gaganyaan Mission: ২৩শে আগস্ট, শনিবার ভারতের জাতীয় মহাকাশ দিবস উপলক্ষে, গগনযান মিশনের মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা এক আলোচনায় বলেন যে, মহাকাশ থেকে পৃথিবী দেখলে আমাদের চিন্তাভাবনা বদলে যায়। তিনি আরও বলেন, যখন মহাকাশচারীরা দূর থেকে আমাদের গ্রহ দেখেন, তখন তাদের পৃথিবীর সূক্ষ্ম ভারসাম্য সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকে। এই দূরত্ব থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের গ্রহটি কতটা মূল্যবান। এই অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তিনি নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে দাবি করেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপও এই বিষয়ে জনগণের সাথে তার মতামত ভাগ করে নেন।
মহাকাশে যাওয়ার উদ্দেশ্য কী?
গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপ বিশ্বাস করেন যে মহাকাশ থেকে দেখলে কোনও দেশের সীমানা দেখা যায় না। তিনি আরও বলেন, বিমান চলাচল খাতে যারা কাজ করেন তারা সবসময় ভবিষ্যতের কথা ভাবেন, যেমন চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে যাওয়া। কিন্তু যখনই আমি মহাকাশচারীদের সাথে দেখা করি, তখন সবচেয়ে ভালো জিনিসটি আমার মনে হয় যে সেখানে কোনও দেশের সীমানা নেই।
মানুষের মহাকাশে যাওয়া কেমন?
গ্রুপ ক্যাপ্টেন অঙ্গদ প্রতাপের কথায় দেখা যায় যে, এখন বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে মহাকাশ গবেষণা কেবল নতুন প্রযুক্তির বিষয় নয়, বরং বিশ্বের সমস্ত দেশ কীভাবে একসাথে কাজ করে তাও বিষয়।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন অজিত কৃষ্ণান তার মতামত উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, আমরা মহাকাশে যে কাজই করি না কেন, তার সুফল পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের কাছে পৌঁছানো উচিত। তিনি বলেন, মহাকাশে করা কার্যকলাপের যদি পৃথিবীতে কোনও উপকার না হয়, তাহলে এর কোনও অর্থ নেই।
পরবর্তী উৎক্ষেপণ কখন হবে?
এই ধারণাগুলি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত তার উচ্চাকাঙ্ক্ষী গগনযান মিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আশা করা হচ্ছে যে মিশনের প্রথম মনুষ্যবিহীন উৎক্ষেপণ ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে হবে। মহাকাশচারীরা বিশ্বাস করেন যে এই অভিযান কেবল পরবর্তী প্রজন্মকেই অনুপ্রাণিত করবে না বরং স্বাস্থ্য, যোগাযোগ এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনার মতো ক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তির প্রচারও করবে। এই প্রযুক্তি পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ মানুষকে উপকৃত করবে।