ব্রাত্য হয়েই বিদায় নিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের নির্ভরযোগ্য ওপেনার

সব ধরণের ক্রিকেট কে বিদায় জানালেন ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার চেতেশ্বর পূজারা (Indian Opener)। ভারতীয় দলে একটা দীর্ঘ সময় ধরে তার নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং লড়াইয়ে জিইয়ে…

Indian Opener retirement

সব ধরণের ক্রিকেট কে বিদায় জানালেন ভারতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার চেতেশ্বর পূজারা (Indian Opener)। ভারতীয় দলে একটা দীর্ঘ সময় ধরে তার নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং লড়াইয়ে জিইয়ে রাখত টিমকে। কিন্তু হঠাৎ ই ছন্দপতন। দলে উঠে এলেন কে এল রাহুল, শুভমান গিল সহ আরও প্রতিভারা। তারপর থেকেই ভারতীয় দলে আর সেভাবে দেখা যায়নি পূজারাকে। দেখা যায়নি ব্যাট হাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রতিপক্ষ বোলারদের পরীক্ষা নিতে।

চেতেশ্বর পূজারা ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে তিনি ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন। ১০৩টি টেস্ট ম্যাচে ৭,১৯৫ রান করেছেন পূজারা, যার মধ্যে রয়েছে ১৯টি শতরান এবং ৩৫টি অর্ধশতরান।

   

তাঁর গড় ৪৩.৬০, যা তাঁর ধারাবাহিকতার প্রমাণ। বিশেষ করে ২০১৮-১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে পূজারার ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তিনটি শতরান সহ ৫২১ রান করে তিনি সেই সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তাঁর দীর্ঘ সময় ধরে ক্রিজে টিকে থাকার ক্ষমতা এবং প্রতিরক্ষামূলক কৌশল ভারতকে অনেক ম্যাচে জয় এনে দিয়েছে।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পূজারার ফর্মে ভাটা পড়তে শুরু করে। ২০২১ সালের পর থেকে তাঁর ব্যাট থেকে আর সেই ধারাবাহিক রানের ধারা দেখা যায়নি। তরুণ প্রতিভা যেমন কে এল রাহুল, শুভমান গিল এবং যশস্বী জয়সওয়ালের উত্থানের ফলে পূজারা ধীরে ধীরে দলের বাইরে চলে যান। টেস্ট দলে তাঁর শেষ ম্যাচ ছিল ২০২৩ সালে, এবং তারপর থেকে তিনি আর জাতীয় দলে ফিরতে পারেননি।

Advertisements

ঘরোয়া ক্রিকেটে রঞ্জি ট্রফিতে সৌরাষ্ট্রের হয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করলেও, তরুণ খেলোয়াড়দের উপর নির্বাচকদের আগ্রহ বেশি ছিল। এই পরিস্থিতিতে পূজারা বুঝতে পারেন যে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তি ঘনিয়ে এসেছে।

বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ কিস্তোয়ারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী

পূজারার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুধু রান বা শতরানের জন্যই স্মরণীয় নয়, তাঁর শৃঙ্খলা, ধৈর্য এবং দলের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার মনোভাবের জন্যও তিনি চিরকাল মনে থাকবেন। তিনি রাহুল দ্রাবিড়ের মতোই টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের ‘দেওয়াল’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রতিরক্ষামূলক খেলার ধরন আধুনিক ক্রিকেটে, যেখানে আগ্রাসী ব্যাটিং বেশি প্রাধান্য পায়, একটি বিরল গুণ ছিল। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো কঠিন কন্ডিশনে তাঁর ব্যাটিং দলকে বহুবার সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।