রবিবার সকালে দিল্লি বিধানসভা প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আবহ। শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত অল ইন্ডিয়া স্পিকার কনফারেন্স। দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এই অনুষ্ঠানটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভারতীয় সংসদীয় প্রথা, বিধানসভার কার্যপদ্ধতি, এবং স্পিকারদের ভূমিকা নিয়ে সার্বিক আলোচনা হয় এই মঞ্চে। ঠিক সেই কারণেই এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দিল্লি বিধানসভায় সাজসজ্জা ও নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সকালে রাজধানীর আকাশে হালকা মেঘ থাকলেও, অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনায় ভরপুর ছিল রাজনৈতিক মহল। সকালেই দিল্লি বিধানসভায় পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) । তাঁর আগমনে প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। বিধানসভা চত্বরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। মন্ত্রীর জন্য রাখা হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী শাল ও ফুলের তোড়া। দুই নেতার মধ্যে উষ্ণ করমর্দন হয় এবং কিছুক্ষণের সৌজন্য বিনিময়ের পর তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অমিত শাহের উপস্থিতি এই সম্মেলনে একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। কারণ, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁর বক্তব্যে থাকছে সংসদীয় গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার দিকনির্দেশ।
সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য
অল ইন্ডিয়া স্পিকার কনফারেন্সের মূল লক্ষ্য হলো দেশের সবকটি রাজ্যের বিধানসভা ও লোকসভার কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ এবং কার্যকর করে তোলা। এখানে প্রতিটি রাজ্যের স্পিকাররা তাঁদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, বিভিন্ন বিধানসভায় যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হতে হয় তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন। সংসদীয় প্রথার আধুনিকীকরণ, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এই বছরের সম্মেলনে বিশেষভাবে আলোচিত হবে—
1. বিধানসভায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার কার্যকর উপায়।
2. বিরোধী পক্ষের ভূমিকা ও সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ভারসাম্য।
3. যুবসমাজ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কৌশল।
4. ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিধানসভার কার্যক্রমকে আরও সহজতর করার পরিকল্পনা।
অমিত শাহের বার্তা
অমিত শাহ(Amit Shah) তাঁর বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, “ভারতীয় গণতন্ত্র বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক কাঠামো। এটিকে শক্তিশালী রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। বিধানসভা ও সংসদ কেবল আইন প্রণয়নের জায়গা নয়, বরং এটি দেশের প্রতিটি নাগরিকের কণ্ঠস্বর।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আজকের দিনে তথ্যপ্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রসার সংসদীয় প্রথাকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তাই প্রতিনিধিদের দায়িত্ব হচ্ছে, বিতর্ককে গঠনমূলক রাখা এবং সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখা।
মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার বক্তব্য
অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের কাছে গর্বের। এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অভিজ্ঞতা একত্রিত হবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সংসদীয় চর্চাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।” তিনি অমিত শাহকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার