বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আজ দমদম জেল ময়দানে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে কাতর অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমাদের বাঁচান! তৃণমূলের অপশাসনের হাত থেকে বাংলার মানুষকে রক্ষা করুন।” তিনি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং রাজ্যের সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘হীরক রানী’ আখ্যা দিয়ে কটাক্ষ করেন এবং দাবি করেন, তৃণমূল সরকারের অপশাসনের কারণে বাংলার জনগণ দুর্দশার মধ্যে রয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বাংলার মানুষের একমাত্র ত্রাণকর্তা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “মোদীজি, আপনিই একমাত্র তৃণমূলের দুর্নীতির হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করতে পারেন।”
দমদম জেল ময়দানে আয়োজিত এই জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার রাজ্যের সীমান্তে বেড়া নির্মাণের জন্য জমি দিচ্ছে না, শুধুমাত্র রোহিঙ্গা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।”
তিনি দাবি করেন, এই অবৈধ অনুপ্রবেশ রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং তৃণমূল ভোটব্যাংক মজবুত করার জন্য অনুপ্রবেশকে মদত দিচ্ছে।
শুভেন্দু আরও বলেন, “বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়। তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসন এবং অরাজকতার হাত থেকে আমাদের মুক্তি দরকার।”তিনি তৃণমূল সরকারের উপর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেন, রাজ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে।
তিনি সম্প্রতি ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “তৃণমূল সরকার জাল ওবিসি শংসাপত্র ইস্যু করে হাজার হাজার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।” এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় এবং সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে রাজ্যের শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি তাঁর আহ্বানে বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছে। আপনার নেতৃত্বে আমরা তৃণমূলের অপশাসন থেকে মুক্তি চাই।”
তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “২০২৬ সালে বাংলার জনগণ তৃণমূলকে উৎখাত করবে এবং বিজেপির হাত ধরে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।”
শুভেন্দু অধিকারী সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টিকে রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল সরকার সীমান্তে বেড়া নির্মাণে বাধা দিচ্ছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের নিরাপত্তা উদ্যোগের বিরুদ্ধে যায়।”
৬ হাজার টাকার কমে লঞ্চ হল itel ZENO 20, মজবুত ডিজাইনের ফোন মুখে বলেই চালানো যাবে
তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার রোহিঙ্গা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, যা রাজ্যের জনসংখ্যাগত ভারসাম্য এবং নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলছে।