আকাশে ভারতের তৃতীয় চোখ…শত্রুর প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর রাখবে ৬টি AWACS

ভারত সরকার AWACS ইন্ডিয়া প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যা ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকাশ নজরদারি এবং কমান্ড ক্ষমতাকে এক বিরাট বৃদ্ধি করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে Airbus A321…

IAF Jet

ভারত সরকার AWACS ইন্ডিয়া প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যা ভারতীয় বিমান বাহিনীর আকাশ নজরদারি এবং কমান্ড ক্ষমতাকে এক বিরাট বৃদ্ধি করেছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে Airbus A321 বিমানের উপর ভিত্তি করে ছয়টি Airborne Early Warning and Control (AEW&C) সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রায় ১৯,০০০ কোটি টাকার একটি চুক্তি অনুমোদন করেছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (CCS)।

ডিআরডিও এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দেবে। এয়ারবাস বিমান সরবরাহ করবে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে। ভারতের অনেক সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানি এতে জড়িত থাকবে এবং সাব-সিস্টেম, সফটওয়্যার এবং গ্রাউন্ড সাপোর্ট তৈরি করবে।

   

এর কৌশলগত বৈশিষ্ট্য:

  • এই বিমানগুলি উড়ন্ত রাডার এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।
  • এগুলি আধুনিক AESA রাডার এবং ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা দিয়ে সজ্জিত থাকবে।
  • এই বিমানগুলি একসাথে বেশ কয়েকটি শত্রু বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং জাহাজের গতিবিধি ট্র্যাক করতে সক্ষম হবে।
  • তারা শত্রুর গতিবিধি আগে থেকেই সনাক্ত করবে এবং বিমান বাহিনীকে সতর্ক করবে।
  • তারা আকাশ থেকেই যুদ্ধবিমান এবং স্থল ব্যবস্থাকে কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ দেবে।

এই বিমানগুলি কেন প্রয়োজন?

Advertisements
  • বর্তমানে ভারতের কাছে মাত্র কয়েকটি AEW&C বিমান আছে,
  • ফ্যালকন AWACS, যা রাশিয়ার Il-76 বিমানের উপর ভিত্তি করে তৈরি।
  • DRDO-এর Netra AEW&C, যা একটি ছোট Embraer বিমানের উপর নির্মিত।

সংখ্যায় কম হওয়ার কারণে, সমগ্র দেশের আকাশসীমায় ২৪×৭ নজরদারি রাখা কঠিন। কিন্তু এখন নতুন A321 ভিত্তিক AEW&C আসার পর, এই অভাব পূরণ হবে।

চিন ও পাকিস্তানের উপর নজর
ভারতের এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এসেছে যখন চিনের ৩০টিরও বেশি AWACS বিমান রয়েছে, যার মধ্যে KJ-500-এর মতো আধুনিক বায়ুবাহিত সতর্কতা ব্যবস্থাও রয়েছে, যা ভারতের সীমান্তের খুব কাছে মোতায়েন করা হয়েছে। পাকিস্তানও তাদের নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিয়োজিত। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এই পদক্ষেপ সরাসরি বার্তা দেয় যে আমাদের বিমান বাহিনী যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত।

তিন বছরের মধ্যে একীকরণ সম্পন্ন হবে
এই বিমানগুলির উন্নয়ন এবং সংহতকরণ প্রায় তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এর পরে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে এবং তারপরে এগুলিকে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কেবল 6টি বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নয়, বরং এটি ভারতের প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। এর ফলে বিমান বাহিনীর শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে এবং ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখতে সক্ষম হবে।