প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী অপসারণ বিল ঘিরে জোরালো প্রতিবাদ, সংসদীয় কমিটিতে নেই তৃণমূল

নয়াদিল্লি: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল-সহ আরও দুটি বিল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে…

Trinamool protest Rajya Sabha

নয়াদিল্লি: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল-সহ আরও দুটি বিল যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব রাখতেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল সাংসদরা। হাতে ‘তড়িপার, দূর হটো’ লেখা পোস্টার, কণ্ঠে একটাই স্লোগান, ‘অমিত শাহ গো ব্যাক’।

বিল নিয়ে তৃণমূলের কড়া অবস্থান

দলীয় সূত্রের খবর, সংশোধনী বিল নিয়ে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে কোনও প্রতিনিধি পাঠাবে না তৃণমূল। দলের এক প্রবীণ নেতা বলেন, “এই বিল কোনওদিনই পাস হবে না। তাই তা নিয়ে আলোচনার অর্থ নেই। যদি কোনওভাবে সরকার সংখ্যার জোরে পাসও করায়, সুপ্রিম কোর্ট এটিকে বাতিল করবে।” সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, বিল নিয়ে কংগ্রেসের নরম অবস্থানে ক্ষোভ জমেছে তৃণমূল শিবিরে।

   

লোকসভা থেকে রাজ্যসভা, বিক্ষোভের ধারাবাহিকতা Trinamool protest Rajya Sabha

বুধবার লোকসভায় শতাব্দী রায়, মিতালী বাগ ও আবু তাহের খানকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। সেই ক্ষোভ গর্জে উঠল এদিন রাজ্যসভায়ও। ওয়েলে নেমে সাংসদরা বিলের কপি ছিঁড়ে উড়িয়ে দেন। টানা চল্লিশ মিনিট ধরে অমিত শাহকে লক্ষ্য করে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সভাগৃহ। এই গোলযোগের মধ্যেই ধ্বনিভোটে অনলাইন গেমিং বিল পাস করিয়ে নেয় সরকার। কিছু পরেই রাজ্যসভার অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি ঘোষণা হয়।

Advertisements

“তৃণমূল কোনও আপস করে না”—ডেরেক ও’ব্রায়েন

প্রতিবাদের পর দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর কথায়, “সরকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যদি ওয়েলে কেউ না নামে, মার্শাল নামানো হবে না। কিন্তু তৃণমূল কোনও ডিল করে না। তাই আমরা নেমেছি, আমিও নিজে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করেছি।” প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় এদিন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের আমন্ত্রণে চা-চক্রে অংশ নেননি তৃণমূল সাংসদরা।

Bharat: Trinamool Congress MPs staged a massive protest in the Rajya Sabha against Home Minister Amit Shah, tearing up bill copies and demanding his withdrawal. The party refuses to send representatives to the joint parliamentary committee on the constitutional amendment bill.