গত বুধবার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল দলের। সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার এফসির কাছে পরাজিত হয়েছে মশাল ব্রিগেড। যা কিছুতেই ভালো হবে নেয়নি সমর্থকরা। বলাবাহুল্য, সেদিন প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপটের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল কিবু ভিকুনার ছেলেদের। যার বিপক্ষে অনেকটাই অফ কালার ছিলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে কারুর পক্ষেই গোল করা সম্ভব না হলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই অনবদ্য ছন্দে ধরা দিয়েছিল বাংলার এই ফুটবল দল। তারপর মিকেল কোর্তাজার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার।
Also Read | এই ভারতীয় উইঙ্গারকে দলে টানার পথে ডায়মন্ড হারবার
যদিও সমতায় ফিরে আসতে খুব একটা সময় লাগেনি মশাল ব্রিগেডের। আনোয়ার আলির দুরপাল্লার শটে এসে গিয়েছিল গোল। তবে ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে দলকে গোল করে ফের এগিয়ে দেন জবি জাস্টিন। যদিও সেই গোল নিয়ে রয়ে গিয়েছে বহু বিতর্ক। আসলে সেই গোলের সময় ডায়মন্ড হারবারে ফুটবলার লুকা মাজসেনের হাতে লেগে ছিল বল। তারপর সেটি পেয়েছিলেন দলের অন্যান্য ফুটবলাররা। স্বাভাবিকভাবেই দেখেছ রেফারির ভূমিকা নিয়ে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক প্রশ্ন। এবার সেই সমস্ত কিছু নিয়ে সরব হলেন লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার।
Also Read | মহামেডান এখন অতীত, চেরনিশভের দিকে নজর এই ফুটবল দলের
উল্লেখ্য, গতকাল ম্যাচের পর স্টেডিয়াম ছাড়ার সময় রেফারি ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এবার ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির মিটিংয়ের পর তিনি বলেন, ” আমাদের মূলত মিটিং ছিল দল নিয়ে। দলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। সেটা নিয়ে কোম্পানির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে বসে আলোচনা করা প্রয়োজন। তাছাড়া আমরা বুঝলাম না রাত্রি নটা চল্লিশ নাগাদ কুন্ডুকে নিয়ে আসা হল। এটা কেন। হরিশ কুন্ডু শেষ কিছু বছর ধরে বিতর্কিত রেফারিং করে গেছেন। তাতে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে জানানো হয়েছে। স্থানীয় ফেডারেশনকে জানানো হয়েছে। টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারপরে ও কেন সেই হরিশ কুন্ডু। এটা নিশ্চয় ডাল মে কুচ কালা হে।”
আরও বলেন, ” আমরা মনে করছি এই সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রে বহু লোকের সক্রিয়তা রয়েছে। এটা এবার যে জায়গায় যাচ্ছে আমাদের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এটা বেশিদিন চলতে পারে না। তাহলে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।”