খানিক স্বস্তিতে ‘যোগ্য’রা! রাজ্য চাইলে পিছোতে পারে এসএসসি, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে নয়া মোড়। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে খানিকটা স্বস্তি পেলেন ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা। সেপ্টেম্বরের ৭ ও ১৪ তারিখে নির্ধারিত নতুন নিয়োগ পরীক্ষা…

SSC recruitment exam postponement

কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে নয়া মোড়। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে খানিকটা স্বস্তি পেলেন ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা। সেপ্টেম্বরের ৭ ও ১৪ তারিখে নির্ধারিত নতুন নিয়োগ পরীক্ষা পিছনো নিয়ে আদালত জানিয়ে দিল, রাজ্য সরকার চাইলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। একইসঙ্গে ফর্ম ফিল-আপের জন্য চাকরিরত শিক্ষকদের অতিরিক্ত সাত দিনের সময়ও দেওয়া হয়েছে।

স্কুলে হাজিরার সঙ্গেই পরীক্ষার প্রস্তুতি

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার শুনানি হয়। মামলায় যুক্তি দেওয়া হয়, বর্তমানে প্রায় ২৬ হাজার ‘যোগ্য’ প্রার্থী স্কুলে নিয়মিত পড়াচ্ছেন। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁদের ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। ফলে প্রতিদিন স্কুলে হাজিরা দিয়ে একইসঙ্গে সেপ্টেম্বরের পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া কার্যত অসম্ভব। এই যুক্তির ভিত্তিতেই পরীক্ষা পিছনোর আবেদন জানান চাকরিপ্রার্থীরা।

   

আদালত সেই আর্জির পরিপ্রেক্ষিতেই মন্তব্য করে জানায়, রাজ্য চাইলে পরীক্ষা পিছনো নিয়ে আবেদন করতে পারবে, শীর্ষ আদালত তা খতিয়ে দেখবে। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের কাছে স্বস্তির হাওয়া বয়ে এনেছে।

গোটা প্যানেল বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট SSC recruitment exam postponement

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ আখ্যা দিয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে রাতারাতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারান। তবে শিক্ষাব্যবস্থার স্বার্থে তাঁদের ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত স্কুলে পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য। সেই পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর।

Advertisements

তবে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে যোগ্যতার মানদণ্ড নিয়ে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, বিজ্ঞপ্তিতে NCERT-এর নয়া নিয়ম অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অথচ ২০১৬ সালের পরীক্ষায় ৪৫ শতাংশ নম্বর পেলেই আবেদন করার সুযোগ ছিল। ফলে অনেকেরই পরীক্ষায় বসার সুযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এই কারণেই ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন জানিয়েছেন, এবারেও যেন ৪৫ শতাংশ নম্বরকে যোগ্যতার মানদণ্ড ধরা হয়।

শীর্ষ আদালতের বৃহস্পতিবারের মন্তব্যের পর এখন নজর রাজ্যের ওপর। সরকার পরীক্ষা পিছনোর সিদ্ধান্ত নেয় কি না, সেটাই দেখার।

West Bengal: The Supreme Court has stated it will consider postponing the new SSC recruitment exam scheduled for September 7 & 14 if the West Bengal government makes a request. The move comes as a relief to 26,000 “eligible” teachers whose previous panel was cancelled.