ডুরান্ডের সেমিফাইনাল হেরে কী বললেন লাল-হলুদ কোচ?

থেমে গেল লড়াই। বুধবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী এই ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল বাংলার…

Oscar Bruzon East Bengal

থেমে গেল লড়াই। বুধবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ঐতিহ্যবাহী এই ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাব। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল বাংলার আরেক শক্তিশালী দল ডায়মন্ড হারবার এফসি।  সম্পূর্ণ সময়ের শেষে তাঁদের কাছেই একটি গোলের ব্যবধানে পরাজিত হল মশাল ব্রিগেড। এদিন ডায়মন্ড হারবার দলের হয়ে জয়সূচক গোল করেন লাল-হলুদের প্রাক্তন তারকা জবি জাস্টিন‌। ইস্টবেঙ্গলের এমন পারফরম্যান্স যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দলের সমর্থকরা। বিশেষ করে গত ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট দলকে পরাজিত করার পর এই ট্রফি নিয়ে ব্যাপক প্রত্যাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে।

কিন্তু অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস হয়তো কাল হয়ে দাঁড়াল সাউল ক্রেসপোদের। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট দাপটের সাথে খেলতে দেখা গিয়েছিল আইলিগের এই নতুন দলকে। লুকা মাজসেনদের পাশাপাশি মিকেল কোর্তাজার দাপটে কার্যত দিশেহারা হওয়ার মত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল ময়দানের এই প্রধানের ফুটবলারদের। প্রথমার্ধে গোলের মুখ খোলা কারুর পক্ষেই সম্ভব না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে মিকেলের ব্যাক ভলিতে প্রথম গোল তুলে নিয়েছিল কিবু ভিকুনার ডায়মন্ড হারবার এফসি। যদিও সেখান থেকে সমতা ফেরাতে খুব একটা সময় লাগেন। মিনিট কয়েকের মধ্যেই গোল করে ছিলেন আনোয়ার আলি।

   

সেই গোলের পর থেকেই নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সমর্থকরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল কোথায়। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ কোয়ার্টারে গোল করে দলের জয় সুনিশ্চিত করে ফেলেন জবি। তারপর প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে হানা দিয়ে ঘন ঘন শট নিলেও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে ডায়মন্ড হারবার। প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্ট খেলতে এসেই তাঁরা উঠে যায় ডুরান্ডের ফাইনালে। তবে এই ম্যাচের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রতিপক্ষের গোল নিয়ে তীব্র সমালোচনা করলেন অস্কার ব্রুজো (Oscar Bruzon)।

Advertisements

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ” ফাইনালে প্রবেশ করার জন্য ডায়মন্ড হারবার দলকে অভিনন্দন। তবে প্রথম গোল নিয়ে খুব একটা অসুবিধা না থাকলেও দ্বিতীয়টি হ্যান্ডবল ছিল। প্রত্যেক সময় আমরা রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের সম্মুখীন হয়ে এসেছি। যেগুলি ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তবে আমাদের নিজেদের ব্যর্থতার কথা ও উল্লেখ করতে হবে। প্রতিপক্ষের বক্সের মধ্যে একাধিক ভুলভ্রান্তির জেরে এই রেজাল্ট হয়েছে‌। আমাদের ছেলেরা প্রায় কুড়ি থেকে তিরিশখানা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু তাঁর মধ্যে কেবল একটাই কাজে লাগাতে পেয়েছে।”