গত মাসেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসা এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের নতুন মর্যাদায় ভূষিত করেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মিলিত সিদ্ধান্ত (Ayush Ministry)। সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল হোমিওপ্যাথি এবং এলোপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি তৃতীয় অপশন হিসেবে হাসপাতালগুলিতে রাখতে হবে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পরিষেবা।
শুধু তাই নয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা মেডিক্যাল অফিসার হিসেবেও কাজ করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ আয়ুর্বেদ পরিষদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে গন্ডগোল।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আয়ুর্বেদ পরিষদে প্রশাসনিক সংকট তিনবছরেরও বেশি। রাজ্য প্রশাসনের এই গাফিলতিতে গাফিলতিতে কড়া চিঠি দিয়েছে আয়ুষ মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আয়ুর্বেদ চিকিৎসা আজ রাজ্য প্রশাসনের উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে তা কার্যত বিপর্যস্ত।
অভিযোগ, গত ২১ জুন ২০২২ থেকে পশ্চিমবঙ্গ আয়ুর্বেদ পরিষদের বোর্ড, যেটি স্বশাসিত একটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান কার্যত অচল অবস্থায় পড়ে আছে অথচ এত দীর্ঘ সময়েও রাজ্য সরকার এর সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এই চরম পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ বঙ্গীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সংঘ নামক রাজ্যের একটি আয়ুর্বেদ সংগঠন থেকে সম্প্রতি নিয়মনীতির সর্বোচ্চ সংস্থা ন্যাশনাল কমিশন ফর ইন্ডিয়ান সিস্টেম অফ মেডিসিন (NCISM)-এর কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এনসিআইএসএম-এর বোর্ড অফ এথিক্স অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন-এর সভাপতি প্রফেসর (ড.) রাজনী এ. নয়ার পশ্চিমবঙ্গ আয়ুর্বেদ পরিষদের রেজিস্ট্রারকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়ে জরুরি ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, পরিষদের অচলাবস্থা শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এটি রাজ্যের আয়ুর্বেদ স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। এনসিআইএসএম-এর মতে, NCISM Act 2020 (Section 31(2)) অনুযায়ী দায়বদ্ধতা রাজ্যের, তাই অবিলম্বে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিয়ে সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, এতদিন ধরে বোর্ড অচল থাকা সত্ত্বেও রাজ্য প্রশাসন নীরব থেকেছে। ফলে শত শত আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বিভিন্ন ধরণের প্রশাসনিক সমস্যার শিকার হচ্ছেন। চিঠির কপি পাঠানো হয়েছে এনসিআইএসএম-এর চেয়ারপার্সন, সচিব এবং বঙ্গীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক সংঘের সমন্বয়ক ডাঃ কেশবলাল প্রধান কে।
বিশেষজ্ঞ মহল প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য সরকার কি ইচ্ছাকৃতভাবেই এই বোর্ডকে অচল করে রেখেছে? নাকি এটি রাজ্যের প্রশাসনিক উদাসীনতার প্রকট প্রমাণ? যাই হোক না কেন, এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
এশিয়া কাপের দলে ব্রাত্য দুই তারকা, হাস্যকর যুক্তি দিল বোর্ড!
রাজ্যের আয়ুর্বেদ ডিরেক্টর ডাঃ দেবাশীষ ঘোষকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তার কাছ থেকে নীরবতা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। তবে আয়ুষ মন্ত্রক কে কি জবাব দেবে রাজ্য তার দিকে নজর থাকবে সকলের।