ডার্বি জয়ের উচ্ছ্বাস এখনও রয়ে গিয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মুখে। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ ২০২৫ সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইস্টবেঙ্গল। এবার মশালবাহিনীর সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। ২০ আগস্ট ডায়মন্ড হারবার এফসির বিরুদ্ধে মহারণ। সেই ম্যাচকে ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে। পাশাপাশি লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে ফিরে এসেছে অগাধ আস্থা ও আবেগও।
ডার্বির রোমাঞ্চকর জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল শিবির এখন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। দলের উইঙ্গার বিপিন সিং মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন, দল সম্পূর্ণ প্রস্তুত আগামী লড়াইয়ের জন্য। তাঁর কথায়, “আমরা সব সময় ম্যাচ অনুযায়ী পরিকল্পনা করি। মোহনবাগানের বিপক্ষে জয়ের পর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। এখন মনোযোগ শুধু ডায়মন্ড হারবার ম্যাচে।”
ডায়মন্ড হারবার এফসি তুলনামূলক নতুন দল হলেও চলতি ডুরান্ড কাপে নজরকাড়া পারফরম্যান্সে সবার নজর কেড়েছে। সেমিফাইনালে তাই ইস্টবেঙ্গলের কাজ মোটেও সহজ নয়। বিপিন স্বীকার করেছেন প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাঁর কথায়, “এটা একেবারে নতুন চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রতিপক্ষকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করেছি। তাদের খেলার ধরন, মাঠের মাপ, সবকিছু মাথায় রেখে প্রস্তুতি চলছে।”
মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দারুণ পারফরম্যান্সের পর শারীরিক ফিটনেসের দিকেও জোর দিচ্ছেন কোচিং স্টাফ। বিপিন বলেন, “ডার্বির মতো ম্যাচের পর তিন দিনের মধ্যে নতুন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামা সহজ নয়। তবে পুরো দল শতভাগ দিচ্ছে। সবাই মনোযোগী এবং শারীরিকভাবে সেরা অবস্থায় ফিরতে সচেষ্ট।”
ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্যও এই ম্যাচ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ঐতিহাসিক ডার্বি জয়ের পর লাল-হলুদ সমর্থকদের উচ্ছ্বাস এখন সীমাহীন। যুবভারতী ভরিয়ে তুলতে প্রস্তুত তারা। ফুটবলাররাও জানেন, সমর্থকদের উপস্থিতিই তাঁদের লড়াইকে অন্য মাত্রা দেয়। বিপিন সিং তাই সাফ বললেন, “এত বড় সমর্থক গোষ্ঠীর সামনে খেলা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। এখানে প্রত্যেক ম্যাচ মানে নতুন উদ্দীপনা।”
বিপিনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা মূলত মুম্বইয়ের ক্লাব ফুটবলকে ঘিরেই। তবে কলকাতায় এসে তিনি ভিন্ন স্বাদ পাচ্ছেন। সমর্থকদের অকুণ্ঠ ভালোবাসা তাঁকে অনুপ্রাণিত করছে। বিপিন বলেন, “মুম্বাইয়ে এত সমর্থক ছিল না। এখানে ইস্টবেঙ্গলের বিপুল সংখ্যক সমর্থকের সামনে খেলা সত্যিই গর্বের বিষয়। মাঠে নামলেই গ্যালারির আবেগ আলাদা শক্তি জোগায়।”