ছন্দময় ফুটবলের মধ্য দিয়েই এবারের সিজন শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দল। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে সাউথ ইউনাইটেডের বিপক্ষে পাঁচ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জেতার পর অনায়াসেই তাঁরা দ্বিতীয় ম্যাচে পরাজিত করেছিল শক্তিশালী নামধারী এফসিকে। তারপর সেই ধারা বজায় ছিল ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিপক্ষে। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল দলের সকল ফুটবলারদের। পাশাপাশি নয়া ফরোয়ার্ড হামিদ আহদাদের পা থেকে গোল আসা অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল দলের মধ্যে। কিন্তু গত রবিবার সন্ধ্যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডার্বি ম্যাচ খেলতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি।
সেদিন ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। যেখানে প্রথম থেকেই সকলের নজর ছিল মরোক্কান তারকা হামিদ আহদাদের দিকে। কিন্তু ম্যাচের প্রায় প্রথয় কোয়ার্টারের শেষের দিকেই প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডার টম অলড্রেডের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে এই বিদেশি ফুটবলারের। যারফলে আর খুব একটা বেশি সময় মাঠে থাকতে পারেননি তিনি। পরবর্তীতে তাঁকে বাধ্য হয়েই তুলে নিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। তাঁর বিকল্প হিসেবে মাঠে এসেছিলেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস দিয়ামান্তাকোস।
পরবর্তীতে তাঁর করা দুইটি গোলেই হাইভোল্টেজ ম্যাচে জয় লাভ করেছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু তাঁর উপরেই হয়তো এখনও সম্পূর্ণভাবে ভরসা রাখা সম্ভব হচ্ছে না অস্কার ব্রুজোর। অপরদিকে মরোক্কান তারকার চোট নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে সকলকের। উল্লেখ্য, সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে গিয়েই পেশিতে টান ধরেছিল এই ফুটবলারের। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত কয়েকদিন হয়তো তাঁকে বিশ্রামে থাকার কথাই জানানো হয়েছে চিকিৎসকদের তরফে। যদিও এক্ষেত্রে পুরো সিদ্ধান্ত নেবেন দলের হেড কোচ।
যারফলে আগামী ২০শে আগস্ট ডুরান্ডের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে হয়তো দিমির উপরেই ভরসা রাখতে হবে লাল-হলুদের হেডস্যারকে। এছাড়াও শক্তিশালী ডায়মন্ড হারবার দলকে আটকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ও সাজাতে চাইবেন এই স্প্যানিশ হেডস্যার।