প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা (Bikash Bhavan)। একদিকে যেমন টেট উত্তীর্ণদের বিক্ষোভ করুণাময়ীতে। ঠিক তেমন ই বিকাশভবন অভিযানে বাম ছাত্র সংগঠন (SFI) । সল্টলেকের বিকাশ ভবনে স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (এসএফআই)-র বিক্ষোভ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার এসএফআই-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে এই অভিযানের আয়োজন করা হয়।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব এবং কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এই দাবি নিয়ে বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভে নামে এসএফআই। তবে, বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের ধরপাকড় এবং লাঠিচার্জের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন এসএফআই কর্মী আটক হয়েছেন।
এসএফআই-র এই অভিযানের মূল কারণ হলো জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব এবং কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু না হওয়া। সংগঠনটি অভিযোগ করেছে যে, শিক্ষা দফতরের গাফিলতির কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল এখনও প্রকাশিত না হওয়ায় কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি।
এর ফলে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। এসএফআই-র দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল অবিলম্বে প্রকাশ করা। এই দাবিগুলো নিয়ে এসএফআই-র কর্মীরা বিভিন্ন জেলা থেকে মিছিল নিয়ে বিকাশ ভবনে জড়ো হয়। তবে, বিকাশ ভবনের প্রধান ফটকের কাছে পৌঁছনোর আগেই ধরপাকড় শুরু হয়।
বিক্ষোভের সময় এসএফআই কর্মীরা বিকাশ ভবনের গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ধরপাকড়ের অভিযোগ ওঠে। এসএফআই কর্মীরা দাবি করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশ হামলা চালিয়েছে এবং মহিলা কর্মীদের প্রতি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে।
বামপন্থী দলগুলো পুলিশের এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে এবং আটক কর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে। এসএফআই ঘোষণা করেছে, তারা তাদের আন্দোলন জোরদার করবে এবং জয়েন্টের ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। স্থানীয়রাও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত তদন্তের দাবি তুলেছেন।
S-400 এর মতো বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি ভারতের, সফল ট্রায়াল
বিকাশ ভবনের এই ঘটনা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলাফল এবং ভর্তি প্রক্রিয়ার বিলম্ব ছাত্রদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এসএফআই-র এই বিক্ষোভ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শিক্ষার অধিকার নিয়ে আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরেছে। সামনের দিনে এই ঘটনার প্রভাব কীভাবে পড়বে এবং শিক্ষা দফতর কীভাবে এই পরিস্থিতির সমাধান করবে, তা নিয়ে সবার নজর রয়েছে।