‘ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল’ সুকুমার রায়ের লেখা হজবরল এখনও আপামর বাঙালির মনে গেঁথে আছে(Bengal Files)। ঠিক এমন ই ঘটনা ঘটেছে বিতর্কিত ছবি বেঙ্গল ফাইলস এর ক্ষেত্রে। ছবির শ্যুটিংয়ের সময় নাম ছিল দিল্লি ফাইলস হঠাৎ করেই অদৃশ্য কোনো এক কারণে নাম বদলে গিয়ে হয়ে গেল বেঙ্গল ফাইলস। ঠিক এমনটাই অভিযোগ করেছেন ছবির অন্যতম অভিনেতা শাশ্বত চট্টপাধ্যায়।
তিনি একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট বলেছেন যখন এই ছবির কাজ চলছিল সেই সময় তাকে বলা হয়েছিল এই ছবির নাম দিল্লি ফাইলস কিন্তু ঠিক মুক্তির আগে ছবির নাম বদলে যায় বেঙ্গল ফাইলস এ। এমনকি অভিনেতা সাক্ষাৎকারে বলেছেন ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ে গল্প বা ছবির প্রেক্ষাপট বলা হয়নি শুধু তার চরিত্রটা বলা হয়েছিল।
শুধুমাত্র চরিত্রটি ভালো লেগে যায় বলেই এই ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হন শাশ্বত। এই সাক্ষাৎকার দেখে রীতিমত প্রশ্ন করা শুরু করেছেন সমোলোচকরা। তারা বলছেন একটি ছবির নাম কি করে হঠাৎ করে বদলে যেতে পারে। তবে কি এর পিছনে কোনো রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। গত শনিবার ১৬ অগাস্ট কলকাতার একটি নামকরা পাঁচতারা হোটেলের ব্যাঙ্কোয়েটে এই ছবির ট্রেলার মুক্তি অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল।
কিন্তু রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে তা ভেস্তে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর। সমালোচক মহলের একাংশের প্রশ্ন বিবেক অন্য দিনেও এই অনুষ্ঠানটি করতে পারতেন। তবে তা না করে ১৬ অগাস্ট গ্রেট কলকাতা কিলিংয়ের দিনটি ই কেন বেছে নিলেন। তবে কি এই চিবিয়ে কেন্দ্র করেও শুরু হয়ে গেল তৃণমূল বিজেপি তরজা। শুধু তাই নয় ঠিক সেদিন ই শুভেন্দু অধিকারীকে ১৯৪৬ এ ঘটে যাওয়া হিন্দু হত্যার প্রতিবাদে পদযাত্রায় দেখা গেছে।
এবং তিনি কলকাতা কিলিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা গোপাল মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন। আবার সেদিন ই সন্ধ্যায় বিজেপি নেত্রী এককালের ফ্যাশান ডিসাইনার অগ্নিমিত্রা পাল কে দেখা যায় বিবেক অগ্নিহোত্রীর সঙ্গে। সেখানে আরও সন্দেহ ঘনীভূত হয়। নেটিজনেরা প্রতিক্রিয়া জানান তবে কি কলকাতায় সেদিন ট্রেলার মুক্তি সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত।
অভিনেতার কথাতেও অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। বলছেন একটা ছবির প্রেক্ষাপট বা গল্প না জেনে শুধু চরিত্র ভালো লেগে গেলে কি অভনয় করা যায়। অভিনয় করতে গেলে কি ছবির প্রেক্ষাপট শুনতে চান না অভিনেতারা। রাজনৈতিক মহলও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে গত ৮০ বছরে কারুর কলকাতা কিলিংয়ের মত ঘটনা মনে পড়েনি এখন ভোটের আগে পুরোনো স্মৃতি ফিরে আসছে।
অপারেশন ‘সিঁদুর’-এ করাচি ছেড়ে পালিয়েছিল পাক নৌবাহিনী, স্যাটেলাইট ছবিতে স্পষ্ট প্রমাণ
আবার একাংশের মতে সেদিন হিন্দুদের সাথে মারা গিয়েছিলেন অনেক মুসলিম ও। তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সরাসরি পরিচালককে উদেশ্য করে বলেছিলেন গুজরাট ফাইলস বানানোর কথা। গোপাল মুখোপাধ্যায় যিনি জনসাধারণের কাছে গোপাল পাঁঠা হিসেবে পরিচিত ছিলেন মারা যাবার ২০ বছরের মধ্যে তাকে কেউ স্মরণ করল না কেন? এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। তবে কিছু সমালোচক বলছেন রাজনীতি থাকুক বা না থাকুক সত্যি ঘটনা ফুটিয়ে তুলতে হবে ছবিতে নাহলে বিতর্ক বাড়বে বই কমবে না।