নয়াদিল্লি: ভারতে শিশু দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া জটিল, সময়সাপেক্ষ ও হতাশাজনক, এ কথা স্পষ্ট ভাষায় মেনে নিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, এত দীর্ঘ প্রতীক্ষা “কাঙ্ক্ষিত নয়” এবং দত্তক প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে হবে।
নথি ও রিপোর্ট চেয়েছিল শীর্ষ আদালত
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে নথি ও রিপোর্ট চেয়েছিল। ওই সংস্থার দাবি ছিল, ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’ (CARA)-এর অধীনে একটি সন্তান দত্তক নিতে তিন থেকে চার বছর সময় লেগে যায়, অথচ দেশে লক্ষ লক্ষ অনাথ শিশু অপেক্ষায় থাকে। ২০২৩ সালের শুনানিতে আদালতে জানানো হয়, ভারতে বছরে গড়ে মাত্র ৪,০০০ শিশু দত্তক নেওয়া হয়, যেখানে অনাথ শিশুর সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি।
আদালত জানায়, সন্তানহীন দম্পতিরা বছরের পর বছর অপেক্ষা করেও সন্তান দত্তকের সুযোগ পাচ্ছেন না, অন্যদিকে বহু অনাথ শিশু নতুন ঘর খুঁজে পাচ্ছে না-এ পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য। বর্তমানে দেশে দত্তক প্রক্রিয়ায় ৩৬ হাজারের বেশি আবেদন জমে আছে।
গভীরভাবে যাচাই করতে হয় Supreme Court on child adoption
সরকারের যুক্তি, শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আর্থিক সচ্ছলতা, নথির বৈধতা ও পরিবারের প্রেক্ষাপট গভীরভাবে যাচাই করতে হয়, যার ফলে সময় লেগে যায়। তবে আদালতের মতে, এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও কার্যকর হতে হবে।
উল্লেখ্য, ভারতে দত্তক সংক্রান্ত আইন মূলত ‘হিন্দু দত্তক গ্রহণ ও ভরণপোষণ আইন, ১৯৫৬’ এবং ‘শিশু সুরক্ষা আইন, ২০০০’-এর আওতায় পরিচালিত হয়। অতীতেও শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে।
Bharat: The Supreme Court of India has acknowledged that the child adoption process in the country is “undesirably lengthy and complex.” The court has called for reforms to make it faster and more efficient, noting that thousands of children are waiting for a home.