Indian Army artillery upgrade: আজকের সময়ে, যুদ্ধের ধরণ বদলে গেছে, এবং ড্রোন একটি প্রধান অস্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রকাশ করেছে যে শত্রুরা ছোট এবং সস্তা ড্রোন ব্যবহার করে বড় এবং ব্যয়বহুল সামরিক ঘাঁটিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি প্রধান ইউনিট বজ্র কর্পস তাদের আর্টিলারি আরও শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বজ্র কর্পস তাদের একাধিক রকেট লঞ্চার সিস্টেমে ‘অ্যান্টি-ড্রোন কেজ’ স্থাপন করেছে, যা তাদের উপর থেকে ড্রোন আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
এই ‘কেজ’গুলি কী এবং কেন এগুলি প্রয়োজনীয়?
‘কোপ কেজ’ হল ধাতব জাল বা লোহার কাঠামো যা সামরিক যানবাহন বা কামানের উপর স্থাপন করা হয়। একই সাথে, তাদের কাজ হল উপর থেকে আসা ড্রোন বা ড্রোন দ্বারা ফেলা বোমাগুলিকে সরাসরি অস্ত্রের উপর পড়তে না দেওয়া। এই খাঁচাগুলি হয় ড্রোনটিকে আটকে রাখে অথবা সময়ের আগেই বোমার ফিউজ ট্রিগার করে। একই সাথে, এই প্রযুক্তি খুব বেশি ব্যয়বহুল নয়, তবে এটি শত্রুর আক্রমণ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার অস্ত্র বাঁচাতে পারে।
কোন বিশেষ অস্ত্রের উপর এই ‘কেজ’ স্থাপন করা হয়েছে?
বজ্র কর্পস তাদের তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেমে এই খাঁচাগুলি স্থাপন করেছে, যা দীর্ঘ দূরত্বে শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে ব্যবহৃত হয়।
১. বিএম-২১ গ্র্যাড- এটি একটি ১২২ মিমি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, যা একবারে ৪০টি রকেট নিক্ষেপ করতে পারে। এর পাল্লা ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এর পাঁচটি রেজিমেন্ট রয়েছে।
২. স্মার্চ: এটি রাশিয়া থেকে নেওয়া একটি শক্তিশালী ৩০০ মিমি লঞ্চার, যা ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত আক্রমণ করতে পারে।
৩. পিনাকা: এটি ডিআরডিও দ্বারা তৈরি একটি দেশীয় লঞ্চার। এর এমকে-আই সংস্করণের পাল্লা ৪৫ কিলোমিটার, অন্যদিকে গাইডেড পিনাকা ৭৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। এটি কার্গিল যুদ্ধেও অত্যন্ত সফল হয়েছিল এবং ভারত এটি আর্মেনিয়ার মতো দেশগুলিতেও বিক্রি করছে।
ড্রোন যুদ্ধের জন্য ভারতের প্রস্তুতি
আজকের যুদ্ধে ড্রোন একটি নতুন এবং বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, বজ্র কর্পসের এই সিদ্ধান্ত দেখায় যে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই পরিবর্তনগুলি বুঝতে পারছে। পশ্চিম এবং উত্তর সীমান্তে, যেখানে খোলা মাঠ রয়েছে, এই আর্টিলারি সিস্টেমগুলি ড্রোন আক্রমণের সহজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারত। কিন্তু এই ‘কেজ’ স্থাপনের মাধ্যমে, সেনাবাহিনী এই আক্রমণগুলিকে নিরপেক্ষ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে, যা দেশের আর্টিলারি শক্তিকে রক্ষা করবে।