অভয়ার জন্য বিচার চেয়ে এবার বিপাকে শ্রীলেখা

অভয়ার বিচার চাই। এই দাবিতেই গত এক বছর ধরে দফায় দফায় রাত দখল, রাস্তা দখলের পর্ব চলছে (Sreelekha Mitra)। চলছে প্রতিবাদ মিছিল। রাজ্য সরকার এবং…

Sreelekha Mitra boycot

অভয়ার বিচার চাই। এই দাবিতেই গত এক বছর ধরে দফায় দফায় রাত দখল, রাস্তা দখলের পর্ব চলছে (Sreelekha Mitra)। চলছে প্রতিবাদ মিছিল। রাজ্য সরকার এবং সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের তদন্তের খামতিতে কার্যত আশাহত অভয়া পরিবার। গত ৯ অগাস্ট অভয়া মৃত্যুর এক বছর পূর্তিতে কালীঘাট চলো ডাক দিয়েছিল বাম সমর্থকেরা।

পুলিশের তৎপরতায় সেই মিছিল এগিয়ে যেতে পারেনি কালীঘাটের উদ্দেশ্যে। বাধ্য হয়ে হাজরা মোড়েই জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয় বামেরা। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন টলি পাড়ার বহুল চর্চিত অভিনেত্র্রী শ্রীলেখা মিত্র থেকে শুরু করে বাদশা মৈত্র। অভয়ার জন্য বিচার চেয়ে সেদিন মঞ্চে সাহসি এবং ঠোঁটকাটা বক্তৃতা দেন শ্রীলেখা মিত্র।

   

প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম করে তাকে ‘ডাইনি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন কিছু অসাংবিধানিক ভাষা। এই বক্তৃতা দিয়েই তিনি অভয়া কাণ্ডের ন্যায় বিচার চেয়েছিলেন কিন্তু এতে ফল হয়েছে উল্টো। শাসকের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি তার বাড়ির দেওয়ালে জ্বলজ্বলে পোস্টার টাঙানো হয়েছে তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হয়েছে বলে।

শুধু শ্রীলেখা নন সেদিন বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল বিজেপির একাংশ এবং অভয়া পরিবার। বিজেপিকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও সেই নবান্ন অভিযান কিছুটা এগোলেও পার্ক স্ট্রিট এ গিয়ে পুলিশের তৎপরতায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।চলে লাঠি আহত হন অভয়ার মা সহ আরও অনেক বিজেপি কর্মী।

হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় অভয়ার মা কে। তারপরে কেটে গেছে বেশ কয়েকদিন আর আজ ই শ্রীলেখার দেওয়ালে পোস্টার পড়ল তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা হয়েছে বলে। এই ঘটনা যেন মনে করিয়ে দেয় কালজয়ী চলচিত্র ‘হীরক রাজার দেশেকে’। ছবিতে সবাই দেখেছে রাজার বিরুদ্ধে কথা বললেই হীরক রাজার শাস্তি ছিল মগজ ধোলাই।

Advertisements

অভয়ার মায়ের উপর লাঠিচার্জ থেকে শ্রীলেখার দেওয়ালে বয়কটের পোস্টার এ সব ই যেন সেই চলচিত্রের বাস্তব সংস্করণ। শ্রীলেখার দেওয়ালে পোস্টার নিয়ে সরব হয়েছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ থেকে শুরু করে নেটিজনেরাও। তাদের মতে বিচার চাইলেই এই রাজ্যে শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।

সরকার শুধু তার স্বৈরাচারী মনোভাব দেখাবে কিন্তু কেউ কোনো প্রতিবাদ করলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা কিংবা সামাজিক বয়কটের মত এই ধরণের মানসিক অত্যাচার চালানো হবে। শ্রীলেখা হয়তো শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে কিছু অসাংবিধানিক শব্দ ব্যবহার করেছেন। কিন্তু সরকার দিনের পরদিন মানুষের সঙ্গে অবিচার করে আসছে।

ভারতবন্ধু কমিউনিস্ট ফিদেল কাস্ত্রোর শতবার্ষিকী ফুটবলে বাইচুং ঝলক

গণতন্ত্র নেই এমনটাও অভিযোগ করেছেন অনেকে। তবে অভয়া বিচার পাবে কিনা তা ভবিষ্যৎ বলবে কিন্তু আর সবার মত বিচার চাওয়া শ্রীলেখার বিরুদ্ধে শাসকের রোষ মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।