শুল্ক উত্তেজনার মাঝেই সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক?

কলকাতা: আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের (UNGA) অধিবেশনে যোগ দিতেআমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi US visit)।…

শুল্ক উত্তেজনার মাঝেই সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক?

কলকাতা: আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের (UNGA) অধিবেশনে যোগ দিতেআমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi US visit)। এই সফর কূটনৈতিক মহলে প্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ভারতের এবং আমেরিকার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জটিলতা ও বাণিজ্যিক টানাপোড়েন মেটাতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সূত্রের বরাতে জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর একান্ত বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে বর্তমান বাণিজ্য বিরোধ, শুল্ক সমস্যা এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নতুন সূচনা নিয়ে কথা হবে। এছাড়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করবেন। বিশ্ব নেতারা ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিউ ইয়র্কে আসতে শুরু করবেন।

   

দ্বিতীয়বারের মতো মোদী-ট্রাম্প মুখোমুখি?

যদি এই বৈঠক বাস্তবায়িত হয়, তাহলে গত ফেব্রুয়ারির সাদা বাড়ি সফরের সাত মাসের মধ্যেই মোদী ও ট্রাম্পের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৭ সালে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদীর সঙ্গে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যা প্রথম মেয়াদে দৃঢ় হলেও দ্বিতীয় মেয়াদে শুল্ক এবং বাণিজ্য ইস্যুতে দ্বন্দ্বের কারণে ছেদ পড়ে।

ট্রাম্পের আগ্রহ এবং মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি

ট্রাম্প গত জুনে কানাডায় অনুষ্ঠিত G7 শীর্ষ সম্মেলনের সময় মোদীকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদী ওই আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ সেই সময়ে একই শহরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ছিলেন৷ একসঙ্গে তাঁদের দেখা হলে তা কূটনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে বলেই মনে করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরের তাৎপর্য কী?

প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফরের খবর এমন এক সময়ে এসেছে যখন আমেরিকা ভারতের ওপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে এবং শিগগিরই অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কও কার্যকর হবে। ভারত এই শুল্ক আরোপকে অন্যায় ও অযৌক্তিক বলে সরাসরি প্রতিবাদ করেছে। সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কৃষি ও সংশ্লিষ্ট খাত নিয়ে কোনো চুক্তিতে দেশের কৃষকদের স্বার্থের সঙ্গে আপস করা হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানিয়ে দিয়েছেন, দেশের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনি প্রয়োজন হলে ব্যক্তিগত কোনও মূল্য দিতে প্রস্তুত।

Advertisements

রাশিয়া থেকে তেল কেনাকে কেন্দ্র করে টানাপোড়েন

আমেরিকা মোদীকে রাশিয়ার তেল আমদানি কমানোর চাপ দিচ্ছে, কারণ হোয়াইট হাউস মনে করে এটি মস্কোর ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আর্থিক ভিত্তি শক্ত করছে। তবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী নীতির সমালোচনা করে, কারণ আমেরিকান কোম্পানিগুলো এখনও ইউরেনিয়াম, রাসায়নিক ও সার রাশিয়া থেকে কিনে আসছে। এই দ্বন্দ্বে গত ১৫ আগস্ট ট্রাম্প ও পুতিনের আলোচনার ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।