জরুরি ভিত্তিতে এই যুদ্ধবিমান প্রয়োজন বায়ুসেনার, সরকারের কাছে প্রস্তাব পেশ; অনুমোদন মিলবে?

Indian Air Force rafale fighter jets needs: ভারতীয় বায়ুসেনা দেশের প্রধান প্রতিরক্ষা বাহিনী। যখনই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তখনই এটি ভারতকে এগিয়ে রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে,…

Rafale

Indian Air Force rafale fighter jets needs: ভারতীয় বায়ুসেনা দেশের প্রধান প্রতিরক্ষা বাহিনী। যখনই কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তখনই এটি ভারতকে এগিয়ে রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে, প্রতিবেশী দেশগুলির বায়ু সক্ষমতার দিকে তাকিয়ে, ভারতীয় বিমান বাহিনী শীঘ্রই তাদের বহরে আরও যুদ্ধবিমান যুক্ত করতে চায়। এই প্রসঙ্গে, বিমান বাহিনী সরকারকে তাদের বহরে আরও বিশ্বস্ত যুদ্ধবিমানের ইউনিট যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নিন সেই যুদ্ধবিমান সম্পর্কে সরকারের মতামত কী।

এই নতুন চুক্তিটি কী? 
ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই নতুন কৌশলটি ১১৪ মাল্টি-রোল ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট (MRFA) প্রকল্পের অংশ। যার প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছিল ১.২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। আইএএফ বর্তমানে তার ফাইটার স্কোয়াড্রনের সংখ্যার ঘাটতির সম্মুখীন হচ্ছে, যা অনুমোদিত ৪২টির বিপরীতে প্রায় ৩১টি।

   

এই ব্যবধান পূরণের জন্য, ভারতীয় বিমান বাহিনী অতিরিক্ত রাফায়েল জেটকে সবচেয়ে উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করেছে। একটি G2G চুক্তি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব এড়াবে, যার ফলে জেটগুলির দ্রুত সরবরাহ সম্ভব হবে।

রাফালকে কেন অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে?
রাফায়েল জেটকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অনেক কারণ আছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে ইতিমধ্যেই রাফায়েলের একটি সক্রিয় বহর রয়েছে, যা এটিকে অন্য যেকোনো নতুন বিমানের তুলনায় সহজে এবং দ্রুত বহরে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ করে দেয়।

Advertisements

একই সাথে, ভারতীয় নৌবাহিনীর রাফায়েলে-এম জেটের সাথে রাফায়েলের ৮০% মিল রয়েছে, যা রক্ষণাবেক্ষণ এবং সরবরাহ খরচ কমায়। এছাড়াও, ইঞ্জিনিয়ারিং স্থানান্তরের প্রতি ফ্রান্সের নমনীয় মনোভাব স্বনির্ভর প্রতিরক্ষা উদ্যোগকেও শক্তিশালী করে।

সরকার কি অনুমোদন দেবে?
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, এই চুক্তি ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। তবে, এই ক্রয়ের পাশাপাশি, ভারত তার দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (AMCA) তৈরির দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে, যা ২০৩৫ সালের মধ্যে উৎপাদনে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, AMCA না আসা পর্যন্ত অতিরিক্ত রাফালে প্রয়োজনীয় স্টপগ্যাপ সমাধান হিসেবে কাজ করবে।

এমন পরিস্থিতিতে, সরকার সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে অনুমোদন দিতে পারে, তবে সরকার AMCA প্রকল্পের ব্যাপারে আরও বেশি গুরুত্বারোপ করছে। যার মাধ্যমে তহবিল এবং উৎপাদনের গতি বৃদ্ধি করা সম্ভব। যার ফলে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সময়ের আগেই ভারতীয় বিমান বাহিনীর ক্যাম্পে যোগ দিতে পারবে।