আসিম মুনির স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন, তীব্র কটক্ষ পেন্টাগনের প্রাক্তন অফিসারের

ওয়াশিংটন: পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পারমাণবিক হুমকিকে ঘিরে কড়া সমালোচনা করলেন প্রাক্তন পেন্টাগন বিশ্লেষক মাইকেল রুবিন। মার্কিন মাটিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের মন্তব্যকে তিনি আখ্যা দিলেন…

Michael Rubin Slams Pakistan Army Chief

ওয়াশিংটন: পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পারমাণবিক হুমকিকে ঘিরে কড়া সমালোচনা করলেন প্রাক্তন পেন্টাগন বিশ্লেষক মাইকেল রুবিন। মার্কিন মাটিতে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের মন্তব্যকে তিনি আখ্যা দিলেন “একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের ভাষা” বলে এবং পাকিস্তানকে তুলনা করলেন “রোগ স্টেট”-এর সঙ্গে (Michael Rubin Slams Pakistan Army Chief)।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাম্পা, ফ্লোরিডায় মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মুনির নাকি বলেন, “পাকিস্তান যদি ডুবে যায়, তবে পৃথিবীর অর্ধেককেও সঙ্গে নিয়ে যাবে।” এই মন্তব্যের পরই রুবিন ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। পাকিস্তান এমন প্রশ্ন তুলছে, তারা আদৌ রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে সক্ষম কি না। এই বক্তব্য ঠিক সেই ভাষা, যা ইসলামিক স্টেটের মতো জঙ্গি সংগঠন ব্যবহার করে।”

   

রুবিনের দাবি, এই ঘটনার পরপরই মার্কিন প্রশাসনের উচিত ছিল দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, পাকিস্তানের মেজর নন-ন্যাটো অ্যালাই মর্যাদা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির চিন্তাভাবনা, এমনকি মুনিরের মার্কিন প্রবেশ নিষিদ্ধ করা। তাঁর কথায়, “আসিম মুনির ওই মন্তব্য করার আধ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে বিমানবন্দরে পাঠিয়ে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো উচিত ছিল।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, পাকিস্তানের এমন পারমাণবিক হুমকি জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহস জোগাতে পারে, যাদের মধ্যে কিছু পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর সঙ্গেও যুক্ত। রুবিনের কথায়, “আসিম মুনির আসলে স্যুট পরা ওসামা বিন লাদেন।”

Advertisements

আরও উস্কানিমূলক প্রস্তাবে তিনি আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বান জানান পাকিস্তানের একটি ‘ম্যানেজড ডিক্লাইন’ বিবেচনার জন্য, যেখানে বালুচিস্তানের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে। এমনকি তিনি ভবিষ্যতে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্র দখলের প্রস্তাবও দেন।

ভারত-মার্কিন সম্পর্ক প্রসঙ্গে রুবিন অভিযোগ করেন, বাণিজ্য ও রুশ জ্বালানি কেনা নিয়ে ওয়াশিংটন দ্বিচারিতা করছে। তাঁর পূর্বাভাস-বর্তমান চাপের পরিস্থিতি কাটলেই দুই দেশের অংশীদারিত্ব আরও মজবুত হবে।

রুবিনের এই বক্তব্য পাকিস্তানের স্থিতিশীলতা, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে-যা তাঁর মতে, ওয়াশিংটনের আর উপেক্ষা করা চলবে না।