সাল ১৯৬৮। যখন কলকাতা ছিল ক্যালকাটা। ( Offbeat story ) সুদূর লন্ডন থেকে একটি বাস ছুটে আসে এ শহর বুকে। সাত সমুদ্র পাড়ে লণ্ডন নগরীর সঙ্গে সে মিলিয়ে দিয়েছিল তিলোত্তমাকে! বাসটির নাম ‘অ্যালবার্ট’।
শোনা যায়, অ্যান্ডি স্টুয়ার্ট নামে এক ব্রিটিশ পর্যটক রোমাঞ্চকর এই জার্নির কথা ভাবেন। আর যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ১৯৬৮-র অক্টোবরে ১৩ জনের একটি দল নিয়ে এই বাসে চেপে সিডনি থেকে সোজা হাজির হন কলকাতার কাছে। পথের দূরত্ব ছিল ১৬,০০০ কিলোমিটার। ( Offbeat story ) মোট ১৩২ দিন পর যেটি লন্ডন পৌঁছয়। এভাবেই প্রথম তৈরি হয় পৃথিবীর সবথেকে লম্বা বাস রুট। জন্ম হয় ‘অ্যালবার্ট’এর।
১০০ গ্রামের চায়ের দাম ১ কোটি ৫০ লক্ষ
সত্তর-এর দশকে বেশ জনপ্রিয় ছিল এই বাসটি। বাসের ভেতরে ছিল বিলাসবহুল বন্দোবস্ত। ১৫০টি সীমান্ত পেরিয়ে অ্যালবার্ট আসত কলকাতায়। এক কথায়, অ্যালবার্ট-এ উঠলে যাত্রীরা সাক্ষী থাকত সুন্দর এক অ্যাডভেঞ্চারের। ( Offbeat story ) যদিও এই বাসে উঠতে গেলে মোটা টাকাও গুনতে হতো যাত্রীদের। সেইসময় অনুযায়ী যা ছিল ৮৫ পাউন্ড। তাই যাত্রীর সংখ্যা খুব বেশি হত না। ‘অ্যালবার্ট’ সবার কাছে ‘বন্ধু–দূত’ বলেই পরিচিত ছিল সে। কলকাতা আর লন্ডনের এবং সিডনি-কলকতার মধ্যে মোট চারটে ট্রিপ হত।
রাজপথে মল্লিকদের জেব্রা গাড়ি দেখে চোখ ছানাবড়া সাহেবদের, এ যে ব্রিটেনের রানিরও নেই
<
p style=”text-align: justify;”>এই দীর্ঘ পথের যাত্রা ছিল ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। বিভিন্ন কারনে বন্ধ হয়ে যায় রুট। তবে ইতিহাসের চ্যাপ্টারে আজও অমলিন রয়েছে অ্যালবার্ট-এর যাত্রার কাহিনী।