Uttarakhand Flash Floods: মঙ্গলবার সকালে, উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার ধরলি গ্রামে খীরগঙ্গা নদীর কাছে মেঘ ফেটে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে (Cloud Burst)। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই পাহাড়ের ধ্বংসাবশেষ কয়েক ডজন বাড়ি সহ ধরলা বাজারকে গ্রাস করে নেয়। কিন্তু বড় প্রশ্ন হলো, আবহাওয়া বিভাগ যখন ভূমিকম্প, সুনামি এবং ঝড়ের ব্যাপারে সতর্ক করতে পারে, তাহলে মেঘভাঙার মতো ঘটনা (মেঘভাঙা বৃষ্টি) সম্পর্কে কেন সতর্ক করতে পারে না? এই ঘটনায় ১৫-২০টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
মেঘ কেন ফেটে?
পাহাড়ি অঞ্চলে মেঘ ফেটে যাওয়া একটি সাধারণ ঘটনা। হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে এই ঘটনাগুলি বেশি দেখা যায়। যদি কোন স্থানে ১ ঘন্টায় ১৫-২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়, তাহলে তাকে মেঘ বিস্ফোরণ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। মেঘে আর্দ্রতার অভাবের কারণে এই ঘটনাটি ঘটে। যখন মেঘে আর্দ্রতা পৌঁছায় না, তখন ঠান্ডা বাতাস তাদের মধ্যে প্রবেশ করে, যার কারণে সাদা মেঘ কালো মেঘে পরিণত হয় এবং একযোগে ঝড়ো বৃষ্টিপাত হয়।
আবহাওয়া বিভাগ কীভাবে সতর্ক করে?
আবহাওয়া বিভাগ সিসমিক সেন্সর, মেরিন সেন্সর এবং স্যাটেলাইট রাডারের সাহায্যে ভূমিকম্প, সুনামি এবং ঝড়ের পূর্বাভাস দিতে পারে। কিন্তু মেঘ ভাঙার বিষয়ে আগে থেকে তথ্য দেওয়া অনেক কারণে কঠিন। প্রথমত, মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনাগুলি স্বল্প সময়ের জন্য ছোট এলাকায় ঘটে এবং এর জন্য উচ্চ রেজোলিউশনের রাডার এবং স্যাটেলাইট ডেটার প্রয়োজন হয় যা ভারতে সীমিত।
অন্যান্য কারণগুলি কী কী?
যদি আমরা দ্বিতীয় কারণটি নিয়ে কথা বলি, তাহলে হিমালয়ের মতো অঞ্চলের গঠনের কারণে, আবহাওয়া এবং সেখানে ঘটছে এমন পরিবর্তনগুলি সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেওয়া খুব কঠিন। এর পেছনে তৃতীয় কারণ হল, বিদ্যমান রাডার সিস্টেমগুলি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা দিতে পারে কিন্তু স্থান এবং সময় সঠিকভাবে সনাক্ত করার জন্য ঘন রাডার নেটওয়ার্ক এবং ডপলার রাডারের অভাব রয়েছে, যা ব্যয়বহুল।