পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ মহুয়া, সাগরিকার অভিযোগ: “শাড়ি ধরে টেনেছে”

নয়াদিল্লি: সপ্তাহের শুরুতেই তুলকালাম রাজধানীতে৷ বিরোধীরা দেশের নির্বাচন কমিশনকে ঘিরে বিক্ষোভে একত্রিত হন। যার জেরে সংসদের কার্যক্রম মুলতুবি থাকল৷ বিহারের ভোটার পরিমার্জন নিয়ে ক্ষোভ ও…

পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ মহুয়া, সাগরিকার অভিযোগ: “শাড়ি ধরে টেনেছে”

নয়াদিল্লি: সপ্তাহের শুরুতেই তুলকালাম রাজধানীতে৷ বিরোধীরা দেশের নির্বাচন কমিশনকে ঘিরে বিক্ষোভে একত্রিত হন। যার জেরে সংসদের কার্যক্রম মুলতুবি থাকল৷ বিহারের ভোটার পরিমার্জন নিয়ে ক্ষোভ ও রাহুল গান্ধীর ‘ভোট-চুরির’ অভিযোগসহ একাধিক ইস্যুতে ইন্ডিয়া ব্লক সামনের সারিতে ছিল। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরাও এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি ইন্ডিয়া জোট থেকে ছিটকে যাওয়া আম আদমি পার্টির সাংসদরাও ছিলেন এই কর্মসূচির অংশ (mahyua moitra fell sick during protest)।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংসদ থেকে মকরদ্বার হয়ে পায়ে হেঁটে নির্বাচনী সদনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন প্রায় ২০০ জন বিরোধী সাংসদ। তবে কমিশনের সদর দফতরের মাত্র ৬০০ মিটার দূরেই দিল্লি পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে বাধা দেয়। এরপর থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

   

দিল্লি পুলিশ দাবি করেছিল, বিরোধী জোট থেকে কোনও অনুমতি পাওয়া যায়নি। যদিও কমিশন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল যেখানে ৩০ জন সাংসদ নিয়ে আলোচনায় আসার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু ইন্ডিয়া ব্লক ওই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পুরো দল নিয়ে যাওয়ার জোর দাবিতে জোরালো অবস্থান নিয়েছিল। যার ফলে পুলিশ ব্যারিকেডে আটকে দেন সাংসদদের।

এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র শাড়ি পরে ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করেন। একই সঙ্গে সপা নেতা অখিলেশ যাদবও ব্যারিকেড ফাঁকি দেন। তবে পুলিশের টানাহিঁচড়ায় তারা বেশিক্ষণ এগোতে পারেননি। মহুয়া মৈত্র ও মিতালী বাগেরা অসুস্থতা হে পড়েন। মহুয়ার অসুস্থতা গুরুতর হলে তাকে পুলিশের বাসে শুইয়ে রাখা হয়৷ অন্যান্য সাংসদরা তাঁকে চিকিৎসা দিচ্ছেন।

Advertisements

এই উত্তেজনার আবহে তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ অভিযোগ করেন, “মহিলা সাংসদদের শাড়ি ধরে টেনেছে পুলিশ। টানাহিঁচড়ার কারণে আমার শাড়িও ছিঁড়ে গেছে।”

এই ঘটনা নির্বাচনী কমিশনের প্রতি বিরোধীদের ক্ষোভের পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার সঞ্চার করেছে, যেখানে নির্বাচন ও ভোটারের অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।