ছুটির দিনে দক্ষিণে বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা, উত্তরে বৃষ্টি নেই

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update)  সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আজ ও আগামীকাল একাধিক জেলায় বজ্রঝড়সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর…

Light Rain Hits Parts of South Bengal, More Showers Likely — Full Weather Update

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Weather Update)  সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে আজ ও আগামীকাল একাধিক জেলায় বজ্রঝড়সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার জন্য দমকা হাওয়া(Weather Update)  এবং বজ্রপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে, সঙ্গে হতে পারে বজ্রঝড় ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত।

আবহাওয়ার (Weather Update)  এই পরিবর্তনের ফলে গ্রামীণ ও শহুরে উভয় এলাকায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রপারে বা গভীর সমুদ্রে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই আবহাওয়া দফতর মৎস্যজীবীদের আগামী ৪৮ ঘণ্টা সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া কৃষকদেরও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে, কারণ এই সময়কালে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হতে পারে।

   

উত্তরবঙ্গের দিকেও আবহাওয়া দফতরের (Weather Update)  সতর্কতা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং-এর মতো পাহাড়ি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাহাড়ি রাস্তায় ভ্রমণ বা পণ্য পরিবহনে বিঘ্ন ঘটতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

দক্ষিণবঙ্গে (Weather Update)  বজ্রপাতের ঝুঁকি এড়াতে আলিপুর আবহাওয়া দফতর(Weather Update)  বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। যেমন—বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠ, গাছের নিচে বা বৈদ্যুতিক খুঁটির কাছাকাছি আশ্রয় না নেওয়া; মোবাইল ফোন বা অন্যান্য ধাতব সামগ্রী ব্যবহার না করা; এবং নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করা। যারা কৃষিকাজ বা বাইরে কোনো কাজে যুক্ত থাকেন, তাদেরও দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে কলকাতা, হাওড়া ও নদীয়ার মতো সমতল অঞ্চলে। এর ফলে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং জনজীবন ব্যাহত হতে পারে। স্থানীয় পৌরসভা ও পঞ্চায়েতগুলোকে নালা ও ড্রেন পরিষ্কারের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে জলাবদ্ধতার সমস্যা কমানো যায়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয় পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স বা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার এই প্রভাব আগামী দুই দিন সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে।

সব মিলিয়ে, দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রকৃতির রুক্ষ রূপ দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় সতর্কতা ও সচেতনতা—দুটিই সমানভাবে জরুরি। আবহাওয়া দফতরের নিয়মিত আপডেট নজরে রাখা, প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলা এবং নিজেদের ও পরিবারের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।