সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের দাবি ক্লাবগুলির, চিঠিতে নেই কলকাতার দুই প্রধান সহ ১

ভারতীয় ফুটবলের (Indian Football) জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট আইএসএল (ISL) ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা আরও জটিল মোড় নিচ্ছে। টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন ধোঁয়াশা, তখন ফেডারেশনকে (AIFF) সুপ্রিম…

ISL 11 club uncertainly wrote letter to AIFF but East Bengal & Mohun Bagan SG avoid legal action

ভারতীয় ফুটবলের (Indian Football) জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট আইএসএল (ISL) ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা আরও জটিল মোড় নিচ্ছে। টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন ধোঁয়াশা, তখন ফেডারেশনকে (AIFF) সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিল ১১টি ক্লাব। কিন্তু এই চিঠিতে নেই কলকাতার দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব, ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ও মোহনবাগান (Mohun Bagan SG)।

গত বৃহস্পতিবার ফেডারেশনের (AIFF) সভাপতি কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বে আইএসএল ক্লাবগুলোর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আশ্বাস দেওয়া হলেও, প্রতিযোগিতা কবে থেকে শুরু হবে, তার নির্দিষ্ট কোনও দিশা দিতে পারেননি ফেডারেশন কর্তারা। এই বৈঠকের পরেই আইএসএলের ক্লাবগুলির এক বড় অংশ ফেডারেশনকে একটি যৌথ চিঠি দেয়। মূল দাবি, আইএসএল-সহ অন্যান্য টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে দ্রুত সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হোক।

   

চিঠিতে ক্লাবগুলোর আবেদন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের কাছে অবিলম্বে পেশ করা হোক। মামলাটিকে জরুরি তালিকাভুক্ত করে দ্রুত রায়দানের জন্য অনুরোধ জানানো হোক। আমরা বিশ্বাস করি, এই পদক্ষেপ আইনগত এবং সময়োচিত, যা ভারতীয় ফুটবলের সব পক্ষের জন্য উপকারী হবে।’’

তবে এই চিঠিতে সই করেনি মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং বেঙ্গালুরু এফসি। সূত্রের খবর, এই তিন ক্লাব কোনওরকম আইনি লড়াইয়ে জড়াতে রাজি নয়। ইস্টবেঙ্গলের কর্পোরেট অংশীদার ইমামি এবং মোহনবাগানের মালিক আরপিএসজি গ্রুপ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা ফুটবলের অংশ হিসেবে আইএসএলে রয়েছে, ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থাকলেও তারা আইনি জটিলতায় জড়াতে চায় না। একই মনোভাব বেঙ্গালুরু এফসির মালিক জেএসডব্লিউ গ্রুপেরও।

Advertisements

আইএসএলের ভবিষ্যৎ বর্তমানে ঝুলে রয়েছে এআইএফএফ এবং এফএসডিএল (FSDL) মধ্যে মাস্টার্স রাইটস এগ্রিমেন্ট (MRA) নবীকরণ ঘিরে। এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এআইএফএফের নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার পর নতুন কমিটি গঠন হতে পারে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ফলে আইএসএল কবে শুরু হবে, আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

এই অনিশ্চয়তা শুধু মাঠের মধ্যে নয়, মাঠের বাইরেও প্রভাব ফেলছে। ওডিশা এফসি, চেন্নাইয়িন এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসি ইতিমধ্যেই তাদের ফুটবলার ও কর্মীদের বেতন স্থগিত বা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও সেদিনের বৈঠকে এআইএফএফ সভাপতি কল্যাণ চৌবে বৈঠকে ক্লাবগুলোকে জানান, আইএসএল দেরিতে হলেও হবে। সম্ভবত কিছু ফরম্যাট বা নিয়মের পরিবর্তন হতে পারে। তবে তিনি কোনও স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিতে পারেননি। বিকল্প হিসেবে তিনি সেপ্টেম্বর মাসে সুপার কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই সুপার কাপের ফরম্যাট, প্রস্তুতি বা ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণ নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

ISL 11 club uncertainly wrote letter to AIFF but East Bengal & Mohun Bagan SG avoid legal action