আগের ফুটবল মরসুমটা খুব একটা ইতিবাচক ছিল না মুম্বাই সিটি এফসির (Mumbai City FC)। শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সঙ্গে ড্র করে আইএসএল শুরু করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া ছিল এই ফুটবল দল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। আটকে যেতে হয়েছিল জামশেদপুর এফসির কাছে। পরবর্তীতে ফের দল ঘুরে দাঁড়ালেও সেটা বজায় থাকেনি বেশিদিন।সময়ের সাথে সাথেই আইএসএলের একাধিক ফুটবল দলের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল আইএসএল জয়ীদের। স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব পড়েছিল লিগ টেবিলে। সেই নিয়ে হতাশ ছিল সকল সমর্থকরা। তবে দ্বিতীয় লেগে একের পর এক ফুটবল দলকে ধরাশায়ী করে ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত করেছিলেন পেট্র ক্র্যাটকি।
তারপর ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম নকআউট ম্যাচ খেলতে নেমেছিল মুম্বাই শিবির। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল জেরার্ড জারাগোজার শক্তিশালী বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে। আগের ম্যাচে তাঁদের বিপক্ষে জয় আসায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন লালিয়ানজুয়ালা ছাংতেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজিত হতে হয়েছিল সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। পাঁচটি গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল দেশের বানিজ্য নগরীর এই দল। তা ভুলে কলিঙ্গ সুপার কাপে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য ছিল প্রত্যেকের। আইএসএলের হতাশা ভুলে চূড়ান্ত সাফল্য পাওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে।
কিন্তু সেই সব কিছু ভুলে এবারের নতুন মরসুমে ভালো পারফরম্যান্স করতে বদ্ধপরিকর ছিল দেশের এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব। তবে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট তথা ইন্ডিয়ান সুপার লিগ আয়োজন ঘিরে প্রথম থেকেই ছিল ব্যাপক ধোঁয়াশা। যারফলে দল গঠনের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল মুম্বাই সহ অন্যান্য দলগুলিকে। এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় রণবীর কাপুরের এই ফুটবল ক্লাব। বর্তমানে টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে নিশ্চয়তা থাকলেও চূড়ান্ত হয়নি সময়সূচী। তবে যতদূর খবর সুপার কাপ খেলতে খুব একটা সমস্যা নেই এই ফুটবল দলের।
তবে এসবের মাঝেই উঠে আসতে শুরু করেছে এক বিশেষ তথ্য। বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে গত দশ বছরের দীর্ঘ চুক্তির পর এবার হয়তো মুম্বাই দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে সিটি গ্রুপ। এক কথায় যা বিরাট বড় ধাক্কা হতে পারে মুম্বাইয়ের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। সেক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছে আইএসএলের অনিশ্চয়তা সহ ব্যাপক ক্ষতির বিষয়টি। যদিও এটি এখনও সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয়।