কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের (CFL) সূচি নিয়ে রাজ্য ফুটবল সংস্থা আইএফএর (IFA) বিরুদ্ধে মুখ খোলার বড় খেসারত দিতে হল সুরুচি সংঘের প্রধান কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে (Ranjan Bhattacharya)। আইএফএর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে “চক্রান্ত” করার অভিযোগ তোলায় তাঁকে দুই ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল আইএফএ শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। তবে এখানেই শেষ নয়। যদি রঞ্জন ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চান, তবে তাঁকে পুরো মরসুমের জন্য নির্বাসিত করা হতে পারে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিয়ামক সংস্থা।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রঞ্জন ভট্টাচার্য মন্তব্য করেন, “সুরুচি সংঘের বিরুদ্ধে আইএফএ চক্রান্ত করেছে। আমাদের দল যেখানে ৬টি ম্যাচ খেলেছে, অন্য দলগুলো সাতটি করে ম্যাচ খেলে নিয়েছে। এতে আমাদের খেলার গতি নষ্ট হচ্ছে। আইএফএ আমাদের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে আসা আটকাতে চক্রান্ত করছে। আমি আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি কেন এই বৈষম্য?”
এই বক্তব্যের পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় আইএফএ। সংস্থার মতে, কোচের মন্তব্য ছিল “অবমাননাকর” এবং “আইএফএর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী”। এরপরই সুরুচি সংঘের সচিবকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ৮ অগস্ট, বিকেল ৪:৩০টায় কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে আইএফএ অফিসে উপস্থিত থেকে লিখিত জবাব জমা দিতে হবে। সেই চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ ছিল সন্তোষজনক উত্তর না মিললে, অথবা কেউ হাজির না হলে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার আইএফএ শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠকে হাজির হন রঞ্জন ভট্টাচার্য। বৈঠকে তিনি তাঁর মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তবে আইএফএ তাতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, তাঁকে সংবাদমাধ্যমের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে দুটি ম্যাচে তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে। এই শাস্তি গ্রহণ না করলে তাঁকে গোটা মরসুমের জন্য সাসপেন্ড করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আইএফএ এক কর্মকর্তা জানান, “রঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো অভিজ্ঞ কোচের কাছ থেকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য আশা করা যায় না। একজন ক্লাব কোচ হিসেবে তিনি নিয়ম মেনে কথা বলবেন, এটাই স্বাভাবিক। তাঁর মন্তব্য শুধু আইএফএর নয়, গোটা বাংলার ফুটবলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে।”