আগের মরসুমটা খুব একটা সুবিধার ছিল না ওডিশা এফসির (Odisha FC)। আটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্টের একের পর এক ম্যাচে। ধীরে ধীরে দল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও আইএসএলের সুপার সিক্সে স্থান করে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁদের টেক্কা দিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে উঠে এসেছিল মুম্বাই সিটি এফসি। সেই হতাশা কাটিয়ে কলিঙ্গ সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য থাকলেও ছিটকে যেতে হয়েছিল প্রথম ম্যাচেই। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। সেইসব ভুলে আগামী ফুটবল মরসুমের জন্য বহু আগে থেকেই ঘর গোছানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে ম্যানেজমেন্ট।
সেজন্য এক্ষেত্রে নয়া ফুটবলার সই করানোর পাশাপাশি দলের বেশকিছু ফুটবলারদের বিদায় জানাতে মরিয়া ছিল এই ফুটবল দল। সেইমতো গত কয়েক মাসে একাধিক ফুটবলারদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ক্লাব। সময়ের সাথে সাথেই আরও দীর্ঘ হয়েছে সেই তালিকা। পরবর্তীতে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছিল ডরিয়েল্টন গোমসের (Dorielton Gomes) নাম। শেষ সিজনে দলের হয়ে মোট ১১ টি ম্যাচ খেলেছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। যার মধ্যে ৩টি গোলের পাশাপাশি ১টি অ্যাসিস্ট ও ছিল ডরির। সেই নিয়ে খুব একটা খুশি ছিল না ম্যানেজমেন্ট। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে ক্লাব।
মনে করা হচ্ছিল নতুন সিজনে হয়তো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অন্য কোনও ফুটবল ক্লাবে যোগদান করবেন বছর পঁয়ত্রিশের এই ফরোয়ার্ড। কিনা না। শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশী দেশ তথা বাংলাদেশের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিলেন জগন্নাথের রাজ্যের ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলে যাওয়া এই ফুটবলার। যতদূর খবর, আপাতত একটি মরসুমের জন্যই তাঁকে দলে টেনেছে বসুন্ধরা। এই ফুটবল দলের হয়ে নিজেকে আদৌ কতটা মেলে ধরতে পারেন এবং সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। গত মরসুম পর্যন্ত এই দলের হয়েই কোচিং করিয়ে এসেছেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের বর্তমান কোচ অস্কার ব্রুজন।
তাঁর তত্ত্বাবধানে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স ছিল বাংলাদেশের প্রথম ডিভিশনের এই ফুটবল দলের। এবার ভারতে খেলে যাওয়া এই বিদেশি ফুটবলার আদৌও কতটা সফল হন এখন সেটাই দেখার।