নয়াদিল্লি: রাজনীতি নয়, ব্যক্তিগত জীবনকে সামনে রেখেই এইবার শিরোনাম কাড়লেন মহুয়া মৈত্র। সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির একটি বিলাসবহুল হোটেলে গ্র্যান্ড রিসেপশন দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ৷ প্রাক্তন বিজেডি সাংসদ পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ের খবর সামনে এসেছিল জুন মাসে৷ তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা ঘিরে তৈরি হল এক রাজনৈতিক মিলনমেলা (Mahua Moitra wedding reception)।
গত ৩০ মে, জার্মানিতে একান্ত ব্যক্তিগত পরিসরে গাঁটছড়া বাঁধেন তৃণমূলের দুই বারের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও ওড়িশার প্রাক্তন লোকসভার সদস্য তথা সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী পিনাকী মিশ্র। প্রায় দুই মাস পর সেই বিবাহকে কেন্দ্র করেই সোমবার দিল্লিতে আয়োজিত হল এক জমকালো অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে মহুয়া ও পিনাকীর রিসেপশন পার্টি ঘিরে বসেছিল চাঁদের হাট। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়-থেকে দলের একাধিক নেতা-নেত্রী। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মহুয়া। কিন্তু দলীয় বৈঠক থাকায় তিনি মহুয়ার রিশেপশনে যেতে পারেননি। তবে এদিন উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে৷
হোটেল ললিতের সেই সন্ধ্যায় রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে বহু নেতানেত্রীর উপস্থিতি দেখা গেল নবদম্পতির পাশে। সমাজবাদী পার্টির নেতা ও প্রাক্তন উত্তরপ্রদেশ মন্ত্রী বীরেন্দ্র সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিও শেয়ার করেন। লেখেন, “TMC সাংসদ মহুয়া মৈত্রজী এবং প্রাক্তন সাংসদ পিনাকী মিশ্রজীর সংবর্ধনায় উপস্থিত থাকতে পেরে সম্মানিত। দু’জনকে জানাই শুভকামনা।” তবে বলে রাখি মহুয়া ও পিনাকি দু’জনেরই এটা দ্বিতীয় বিয়ে৷
তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সাগরিকা ঘোষ লেখেন, “সুন্দরী কনে মহুয়া ও পিনাকীর এই বিশেষ দিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”
রাজনীতির চৌহদ্দি পেরিয়ে বরাবরই নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে তুলেছেন মহুয়া মৈত্র। তাঁর স্পষ্টভাষী বক্তব্য, সাংসদ হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা তাঁকে এনে দিয়েছে জাতীয় স্তরে পরিচিতি। তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্টও নজরকাড়া৷ অন্যদিকে, পিনাকী মিশ্র সেন্ট স্টিফেনস কলেজ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী—আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে বর্ষীয়ান এবং সংসদীয় রাজনীতিতে তিনবার লোকসভা সদস্য।
এই পরিণয় শুধুমাত্র ব্যক্তিগত জীবনের অধ্যায় নয়, বরং রাজনৈতিক ও পেশাগত জগতের এক মেধা ও অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণও বটে।
যেখানে একদিকে রয়েছে শক্তিশালী কণ্ঠস্বর ও রাজনৈতিক স্পষ্টতা, অন্যদিকে গভীর আইনজ্ঞসুলভ উপলব্ধি-মহুয়া ও পিনাকীর এই নতুন যাত্রাপথ নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক মহলেও কৌতূহল ও আলোচনার জন্ম দিচ্ছে।