‘২০২৩ এ সমর্থনের দাম নারীবিদ্বেষী’, ইস্তফা দিয়ে অভিমানী কল্যাণ

সোমবার তৃণমূলের অন্দরে হয়েছে বিরাট রদবদল (Kalyan)। সুদীপ বন্দোপাধ্যায় কে অতীত করে লোকসভার নেতৃত্ব পেয়েছেন অভিষেক। আবার এই এক ই দিনে লোকসভার প্রধান হুইপ পদ…

Kalyan slams mahua

সোমবার তৃণমূলের অন্দরে হয়েছে বিরাট রদবদল (Kalyan)। সুদীপ বন্দোপাধ্যায় কে অতীত করে লোকসভার নেতৃত্ব পেয়েছেন অভিষেক। আবার এই এক ই দিনে লোকসভার প্রধান হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। বলা ভালো তাকে ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে। এই ঘটনার পরেই কার্যত ভীষণ ক্ষুব্ধ বিশিষ্ট আইনজীবী।

একের পর এক সাংসদের নাম নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। ছাড়েননি মহুয়া মৈত্রকেও। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েক মাস যাবৎ কল্যাণ-মহুয়া তরজা সামনে এসেছে সবার। বিরোধী এবং সমালোচকগণ এই তরজা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ ও করেছে বলাই বাহুল্য। কল্যান প্রকাশ্যে আই হেট্ হার বলে কটাক্ষ করেছেন মহুয়াকে।

   

তেমন ই মহুয়াও ছাড়বার পাত্রী নন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নাম না করে কল্যাণকে ‘শুয়োর’, ‘যৌনহতাশাগ্রস্ত’ বলে আক্রমণ করেছেন । মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্টে কল্যাণ অভিমানের সুরে লিখেছেন। ২০২৩ সালে সংসদে এই মহুয়াকে সমর্থন করেছিলেন তিনি।

মহুয়াকে সমর্থন করে একটি লম্বা চওড়া বক্তৃতাও দেন তিনি। আজ পরিস্থিতি বদলেছে মহুয়া সেদিনের সমর্থন সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে কল্যাণকে করেছেন নারী বিদ্বেষী। সোমবার দলীয় ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিতে গিয়েও মহুয়াকে দেখে ‘দিন টা চলে গেল’ বলে কটাক্ষ করেন কল্যাণ। আর তার পরেই এই দুর্ঘটনা।

ইস্তফা দেওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তিনি, বলেন আমি বড়লোকের ছেলে না। কেমব্রিজ অক্সফোর্ডে পড়িনি। মহুয়াকে কটাক্ষ করে বলেন এখন দলে অনেকে আছেন দামি দামি শাড়ি পরেন। তারাই এখন দলের জন্য একদম সঠিক ব্যাক্তি। ক্ষুব্ধ কল্যাণ বলেছেন মহুয়া প্রকাশ্যে নাম না করে শুয়োর বলে তাকে কটাক্ষ করেছেন এবং বলেছেন তিনি ‘শুয়োরের সাথে কুস্তি করতে চাননা’।

Advertisements

কল্যাণের প্রশ্ন কি করে একজন সাংসদ তার নিজের দলের আরেক সাংসদকে এই ধরণের ভাষা ব্যবহার করে কুরুচিকর আক্রমণ করতে পারে।২০২৩ সালে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে উঠেছিল ‘ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেন’ অভিযোগ, যেখানে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার জন্য।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদের নৈতিকতা কমিটি তাঁকে লোকসভা থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে, এবং ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত হন। এই সময়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তার এক্স পোস্ট দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তিনি এখন হাত কামড়াচ্ছেন।

কল্যাণের ইস্তফা! লোকসভায় তৃণমূলের চিফ হুইপ কাকলি, বড় দায়িত্বে শতাব্দী

ভাবছেন সেদিন কেন মহুয়াকে সমর্থ করেছিলেন। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই কোন্দলের মধ্যে ঢুকে তার মধ্যস্ততা করবার ধৃষ্টতা দেখাননি। তবে সমোলোচককুলের মতে যদি শীর্ষ নেতৃত্ব দায়িত্ব নিয়ে এই কোন্দল সমাধান না করেন তাহলে এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ফলে।