চার গোল খেয়ে চূর্ণবিচূর্ণ বিএসএফ, ফের জোড়া গোল লিস্টনের

জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। ডুরান্ডের (Durand Cup 2025) নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান।…

Mohun Bagan Super Giant dominate BSF FT with a 4-0 victory in Durand Cup 2025, led by Liston Colaco’s brace, Manvir Singh’s header, and Sahal Abdul Samad’s strike

জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। ডুরান্ডের (Durand Cup 2025) নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যেখানে লড়াই করতে হয়েছিল বিএসএফ দলের সঙ্গে। পূর্ন সময়ের শেষে ৪-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। দলের হয়ে এদিন ও জোড়া গোল পেলেন লিস্টন কোলাসো। এছাড়াও প্রথমেই গোল করেছিলেন মনবীর সিং। পরবর্তীতে দলের হয়ে আরও একটি গোল করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। গত ডার্বি ম্যাচের পর এই ম্যাচে বিরাট বড় ব্যবধানে জয় আসায় নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে দলের সকল ফুটবলারদের।

বলাবাহুল্য, এদিন ম্যাচের প্রথম দিকে কার্যত আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ফুটবল খেলতে শুরু করেছিল প্রতিপক্ষ দল। যালফলে প্রথম কোয়ার্টারের মধ্যেই কয়েকবার গোলের সহজ সুযোগ চলে এসেছিল তাঁদের কাছে। কিন্তু সবুজ-মেরুনের জমাট বাঁধানো রক্ষণভাগের পাশাপাশি বিশাল কাইথের দক্ষ হাতে বারংবার আটকে যেতে হয়েছিল বিএসএফ দলকে। তবে সময় যত এগিয়েছিল ততই চাপ বাড়িয়ে বিএসএফের রক্ষণে হানা দিতে শুরু করেছিল লিস্টন কোলাসো থেকে শুরু করে অনিরুদ্ধ থাপার মতো ফুটবলাররা। তারপর ২৪ মিনিটের মাথায় রোশন সিংয়ের ক্রস থেকে দুরন্ত হেড করেন মনবীর সিং। প্রথমার্ধের শেষে সেই একটি গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে ছিল মোহনবাগান।

   

প্রথমার্ধের শেষের দিকে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। নাহলে অনায়াসেই দুইটি গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারত মেরিনার্সরা। যদিও বেশিক্ষণ থাকেনি সেই আফশোস। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটের মাথায় সাহাল আব্দুল সামাদের পাস থেকে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ঢুকে দুরপাল্লার শট নেন লিস্টন। সেকেন্ড পোষ্টের কোনা থেকে বল চলে যায় গোলের মধ্যে। টানা দুই ম্যাচে গোল পাওয়া নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতে পারে যেকোন ফুটবলারের। সেটাই হল তাঁর সাথে। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলের ঠিক মিনিট পাঁচেক পরেই সতীর্থ ফুটবলারের থ্রু ধরে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে ফের ঢুকে পড়েন লিস্টন। তারপর অনায়াসেই বল ঠেলে দেন গোলের মধ্যে। একেবারে সামনে থেকে শট নেওয়ায় কিছুই করার ছিল না বিএসএফের গোলরক্ষকের।

Advertisements

তৃতীয় গোল আসার পরেই আরো যেন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকে মোহনবাগান। তার উপরে টেকচাম অভিষেক সিং থেকে শুরু করে আলবার্তোর মতো ফুটবলার মাঠে আসায় আরো বেশি ভয়ঙ্কর হতে শুরু করেছিল বাগান ব্রিগেড। আসলে এই ম্যাচ থেকেই গোল পার্থক্য বাড়িয়ে নেওয়ার লক্ষ্য ছিল সবুজ-মেরুনের। তাঁদের ঘন ঘন আক্রমণে কার্যত তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল সবার কাছেই। তারপর ৬১ মিনিটের মাথায় বিএসএফের ডিফেন্স চূর্ণবিচূর্ণ করে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন সাহাল আব্দুল সামাদ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার হেড দিয়ে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও সেটা কাজে আসেনি। গোল লাইন অতিক্রম করে যাওয়ায় শেষ রক্ষা হয়নি। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পর ম্যাচ রেফারির তরফে অতিরিক্ত ৪ মিনিট সময় সংযুক্ত করা হলেও অপরিবর্তিত থাকে স্কোর লাইন। চারটি গোলের ব্যবধানে এই জয় ডায়মন্ড হারবার ম্যাচের আগে নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বাড়াবে সকলের।