144 missile Project 18 destroyer: ভারতীয় নৌবাহিনী ক্রমাগত তার শক্তি বৃদ্ধি করছে। এর ফলে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সমুদ্রের তলদেশে ভারতের শক্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃতপক্ষে, নৌবাহিনীর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের আওতায়, অত্যাধুনিক P-18 স্টিলথ ডেস্ট্রয়ার তৈরি করা হচ্ছে। এই ডেস্ট্রয়ারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হবে এর অসাধারণ অগ্নিশক্তি, কারণ এটি মোট ১৪৪টি ক্ষেপণাস্ত্র কোষ দিয়ে সজ্জিত থাকবে। এই ডেস্ট্রয়ারটি কেবল একটি জাহাজ নয়, বরং জলে ভাসমান একটি ‘দুর্গ’ হবে, যা শত্রুর প্রতিটি আক্রমণের নির্ণায়ক জবাব দেবে।
Project 18 destroyer: P-18 স্টিলথ ডেস্ট্রয়ারের বৈশিষ্ট্য
P-18 ডেস্ট্রয়ারটি ভবিষ্যতের যুদ্ধের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে এবং এর বৈশিষ্ট্যগুলি এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধজাহাজের তালিকায় স্থান দেয়।
এই ডেস্ট্রয়ারের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল এর ১৪৪টি মিসাইল সেল অর্থাৎ ভার্টিক্যাল লঞ্চ সিস্টেম। এই মিসাইল সেলগুলি একসাথে অনেক ধরণের মিসাইল নিক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখে, যা এটিকে শত্রুর জন্য একটি বড় হুমকি করে তোলে।
এই সেলগুলিতে ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার পাল্লার ব্রহ্মোসের মতো সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র (এক্সটেন্ডেড-রেঞ্জ) থাকবে। এছাড়াও, এটিতে দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বারাক-৮ও থাকবে, যার পাল্লা ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ভবিষ্যতে, হাইপারসনিক ব্রহ্মোস-২ এর মতো ক্ষেপণাস্ত্রও এতে মোতায়েন করা যেতে পারে, যার পাল্লা ১০০০ কিলোমিটারেরও বেশি হবে।
Project 18 destroyer: ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে নজর রাখবে
শুধু তাই নয়, এই ডেস্ট্রয়ারটিতে একটি অত্যাধুনিক ফেজড-অ্যারে রাডার থাকবে, যা ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আকাশ ও সমুদ্রের লক্ষ্যবস্তুতে নজর রাখতে পারবে। এই রাডারটি একসাথে একাধিক লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক এবং আক্রমণ করার ক্ষমতা রাখে, যা নৌবাহিনীর নজরদারি ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করবে।
Project 18 destroyer: স্টিলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত থাকবে
এটি একটি ‘স্টিলথ’ ডেস্ট্রয়ার, যার অর্থ এর নকশা এমন যে শত্রুর রাডারে এটি সনাক্ত করা খুব কঠিন হবে। এর এই বিশেষত্ব এটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে একটি বিশাল কৌশলগত সুবিধা দেবে, যার ফলে এটি শত্রুর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে এবং সনাক্ত না হয়েই আক্রমণ করতে পারবে।
একই সাথে, ১৩,৫০০ থেকে ১৫,০০০ টনের এই বিশাল ডেস্ট্রয়ারটি কেবল ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, বরং অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট এবং সাবমেরিন-বিধ্বংসী যুদ্ধ ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত থাকবে।
এর সাহায্যে হেলিকপ্টারও বহন করা যাবে, যা এর নজরদারি এবং আক্রমণ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে।
এছাড়াও, এর বিশাল আকারের কারণে, এটি দীর্ঘমেয়াদী গভীর সমুদ্র অভিযান পরিচালনা করতে পারে, যা ইন্দো-প্যাসিফিকের মতো বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।