Indian Air Force strength: ভারতীয় বিমান বাহিনী বর্তমানে একটি বড় এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। একদিকে যেখানে বিমান বাহিনী তার বহরে আরও রাফায়েল যুদ্ধবিমান যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে, অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ পরামর্শ দিচ্ছেন যে অতিরিক্ত রাফায়েল কেনার পরিবর্তে, বিমান বাহিনীর উচিত তার বিদ্যমান সুখোই এসইউ-৩০এমকেআই বহরের উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করা।
আপগ্রেডের জন্য মাস্টার প্ল্যান কী?
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা Su-30MKI-এর আপগ্রেডের জন্য দুটি প্রধান প্রযুক্তি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন।
প্রথম নতুন ইঞ্জিন (AL-31F-177S)- Su-30MKI তে বিদ্যমান AL-31F ইঞ্জিন রয়েছে। এটি AL-31F-177S ইঞ্জিনে আপগ্রেড করা যেতে পারে। এই ইঞ্জিনটি বিদ্যমান ইঞ্জিনের তুলনায় আরও শক্তিশালী, আরও টেকসই এবং আরও জ্বালানি সাশ্রয়ী। এই ইঞ্জিনটি কেবল Su-30MKI-কে আরও ভাল গতি এবং থ্রাস্ট দেবে না বরং এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচও কমাবে।
দ্বিতীয় দেশীয় ‘বিরূপাক্ষ’ রাডার – এটি ভারতেই তৈরি একটি অত্যাধুনিক অ্যাক্টিভ ইলেকট্রনিকলি স্ক্যানড অ্যারে (AESA) রাডার। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ‘বিরূপাক্ষ’ রাডার এতটাই শক্তিশালী যে এটি রাফায়েলে স্থাপিত রাডারের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এই দেশীয় রাডার দিয়ে সজ্জিত হওয়ার পর, শত্রুর উপর নজরদারি এবং লক্ষ্যবস্তু করার জন্য Su-30MKI-এর ক্ষমতা অভূতপূর্বভাবে উন্নত হবে।
রাফায়েলের তুলনায় Su-30MKI-এর আপগ্রেড কেন ভাল?
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন রাফায়েল কেনা খুবই ব্যয়বহুল একটি চুক্তি। তুলনায়, ভারতে ইতিমধ্যেই থাকা 272টি Su-30MKI বিমান আপগ্রেড করা অনেক বেশি সাশ্রয়ী হবে। এই কৌশলটি বিমান বাহিনীর বাজেট সঠিক জায়গায় ব্যয় করার একটি স্মার্ট উপায়।
এছাড়াও, অল্প সংখ্যক রাফায়েলে জেট কেনার পরিবর্তে, Su-30MKI-এর মতো বৃহৎ নৌবহর আপগ্রেড করলে বিমান বাহিনীর শক্তি অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। এটি বিমান বাহিনীকে অভিযানের সময় আরও নমনীয়তা দেবে।
একই সাথে, ‘বিরূপাক্ষ’-এর মতো দেশীয় রাডারের ব্যবহার মেক ইন ইন্ডিয়াকে উৎসাহিত করবে। এর পাশাপাশি, নতুন ইঞ্জিনের প্রযুক্তিতে স্থানীয়করণ ভারতের বিদেশী নির্ভরতাও কমাবে। এটি ভারতকে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি করে তুলবে। এমন পরিস্থিতিতে, রাফালে অত্যন্ত সক্ষম বিমান হলেও, Su-30MKI-কে আপগ্রেড করার এই পরামর্শ ভারতের প্রতিরক্ষা কৌশলকে একটি নতুন মাত্রা দিতে পারে।