রাজধানী দিল্লির অত্যন্ত সুরক্ষিত ও কূটনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন এলাকা চাণক্যপুরীতে (Congress MP) সোমবার সকালে ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। সকালবেলা মর্নিং ওয়াকে(Congress MP) বেরিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার শিকার হলেন তামিলনাড়ুর মহিলা সাংসদ সুধা রামকৃষ্ণণ। তাঁর গলায় থাকা সোনার চেন ছিনতাই করে পালিয়ে যায় এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।(Congress MP)
সাধারণত এই এলাকা বিদেশি দূতাবাস, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বাসভবনের জন্য পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই এখানে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া থাকার কথা। কিন্তু এমন একটি হাই-সিকিওরিটি জোনে একজন সংসদ সদস্যের উপর ছিনতাইয়ের ঘটনা সামনে আসতেই হতবাক গোটা প্রশাসন।(Congress MP)
সোমবার সকাল প্রায় ৬টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। সূত্রের খবর, সুধা (Congress MP) রামকৃষ্ণণ প্রতিদিনের মতো সেদিনও সকালের হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই এক বাইকে করে আসা এক দুষ্কৃতী তাঁর খুব কাছে চলে আসে এবং আচমকাই তাঁর গলায় থাকা সোনার চেন টেনে নিয়ে পালিয়ে যায়। সাংসদ প্রথমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিনতাইকারী চোখের পলকে উধাও হয়ে যায়।
তাঁর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষী দূরে থাকায় ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পরপরই সুধা রামকৃষ্ণণ চাণক্যপুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দিল্লি পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নামে। আশপাশের এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে এবং বিশেষ একটি টিম গঠন করে গোটা এলাকা জুড়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।(Congress MP)
এদিকে, সংসদ সদস্যের উপর ছিনতাইয়ের ঘটনায় (Congress MP) রাজনৈতিক মহলেও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কংগ্রেস এবং আপ নেতৃত্ব দিল্লি পুলিশের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র বলছেন, “যেখানে একজন সাংসদই সুরক্ষিত নন, সেখানে সাধারণ নাগরিক কীভাবে নিজেদের নিরাপদ মনে করবেন?” দিল্লি সরকার এবং পুলিশের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
চাণক্যপুরীর মতো এলাকায় এই ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে দিল্লি পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তোলে। শুধুমাত্র একটি চেন ছিনতাই নয়, এটা রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বাস্তব ছবি তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক চাপের মাঝে পুলিশের (Congress MP) নজরদারির ফাঁকফোকর তৈরি হচ্ছে, যার সুযোগ নিচ্ছে দুষ্কৃতীরা।
এখন দেখার বিষয়, পুলিশ কত দ্রুত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারে এবং কীভাবে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা রোধে তারা পরিকল্পনা করে। এ ঘটনা শুধু একজন সাংসদকে নয়, গোটা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। সাধারণ মানুষ একটাই প্রশ্ন তুলছেন—“যদি চাণক্যপুরীতে নিরাপত্তা না থাকে, তাহলে বাকি দিল্লির কী অবস্থা?”
দিল্লি পুলিশের দাবি, খুব শিগগিরই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে এই ঘটনার রেশ এত সহজে ফুরোবে না বলেই মনে করছেন অনেকে। ভারতের রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনা আদৌ বরদাস্তযোগ্য নয়, বলছেন বিরোধী দল ও সাধারণ নাগরিকেরা।(Congress MP)